নিহত পুলিশকর্মীর আত্মীয়স্বজন যাতে সাক্ষ্য দিতে যেতে না-পারেন, সেই জন্য বাড়িতে হামলা এবং ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। বিশরপাড়ার সেই ঘটনায় অবশেষে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ।
গত দোলের দিন বিশরপাড়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে খুন করা হয় কলকাতা পুলিশের কর্মী অসীম দামকে। সেই ঘটনায় পরিবারের লোকেরা যাতে সাক্ষ্য দিতে আদালতে না-যান, সেই জন্যই দুষ্কৃতীরা মঙ্গলবার দুপুরে তাঁদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভয় দেখায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিধাননগরের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার তরুণ হালদার বলেন, “হামলা ও হুমকির অভিযোগে তিন জন গ্রেফতার হয়েছে। বুধবার তাদের ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়।”
গত ৮ মার্চ, দোলের দিন অসীমবাবুদের বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করছিল এলাকার কয়েক জন মদ্যপ দুষ্কৃতী। অসীমবাবু প্রতিবাদ করায় দুষ্কৃতীরা তাকে খুন করে। তদন্তে নেমে আট অভিযুক্তের মধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। গত ১৮ মে ব্যারাকপুর আদালতে ওই খুনের মামলায় চার্জশিটও পেশ করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। অসীমবাবুর পরিবারের অভিযোগ, তার পর থেকেই তাঁদের নানা ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, আদালতে সাক্ষ্য দিতে গেলে খুন করা হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে জনা দশেক সশস্ত্র যুবক অসীমবাবুদের বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। তখন ঘরে ছিলেন মহিলারাই। হামলার কথা পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও সেই সময়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তোলে অসীমবাবুর পরিবার। পরে অবশ্য পুলিশ যায়। রাতেই গ্রেফতার করা হয় তিন জনকে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম কমল দাস, কালু দেবনাথ ও বাদল। তারা ওই এলাকারই বাসিন্দা এবং তাদের নেতৃত্বেই হামলা হয়। অসীমবাবুর ভাগ্নি মামন ধর এ দিন বলেন, ‘‘মামার খুনিদের শাস্তির সঙ্গে সঙ্গে যারা আমাদের ভয় দেখিয়েছে, তাদেরও কঠিন শাস্তি চাই।” |