চাপড়ায় ভস্মীভূত ৫০টি বাড়ি |
ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে চাপড়ার বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া গ্রামের ৫০টি বাড়ি। বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ চাপড়ার হুদোপাড়ার মসজিদপাড়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়। পুলিশ ও দমকল সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রতিটি বাড়িই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। তবে প্রাণহানির কোনও ঘটনা ঘটেনি। এ দিন বিকেলে ঘটনাস্থলে যান কৃষ্ণনগরের সদর মহকুমাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে কথাও বলেন। তিনি আশ্বাস দেন, “ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে গ্রামের একটি বাড়িতে ধান সেদ্ধ করার সময়ে বাড়িতে আগুন লেগে যায়। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের বাড়িগুলিতেও। এলাকার বাসিন্দারাই প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল সালাম বলেন, “জোরে হাওয়া দিচ্ছিল। তাতে আগুন খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। আমরা চাই সরকার আমাদের ত্রাণের ব্যবস্থা করুক।” কৃষ্ণনগর দমকল বাহিনীর ওসি হরলাল সরকার বলেন, “রান্নার আগুন থেকেই আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে।”
|
আশ্বাসই সার, বেহাল রাস্তা |
রাস্তা সংস্কার হয়নি ১৫ বছর ধরে। ফলে একটু বৃষ্টিতেই সাইকেল চলাচলও মুশকিল হয়ে পড়ে ডোমকলের কুপিলা-বিলপাড়া গ্রামে। শুধু বাসিন্দারা নন, হরিশঙ্করপুর শ্রীকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠের কুপিলা ও চাঁদেরপাড়া এলাকার প্রায় ৫০০ ছাত্রছাত্রীকেও দ’ুবেলা যাতায়াত করতে হয় ওই রাস্তা দিয়ে। তাঁরা জানান, বারবার প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিদের জানিয়েও কোনও ফল মেলেনি। যদিও প্রশাসনের তরফে দ্রুত রাস্তা সারানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বছর পনেরো আগে কুপিলার মানুষ চাঁদা তুলে প্রায় চার কিমি ইটের রাস্তা তৈরি করেছিলেন। পরে পঞ্চায়েত দু’কিমি রাস্তার সংস্কার করলেও বিলপাড়ার বাকি রাস্তার আর কোনও সংস্কার হয়নি। স্থানীয় মিরাজুল ইসলাম বলেন, “গ্রামের অন্য রাস্তার উন্নয়ন হলেও বিলপাড়ার কোনও উন্নতি হয়নি।” ছাত্রী মাহফুজা খাতুন বলে, “অন্যসময় ভাঙা রাস্তা হলেও সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাওয়া যায়, কিন্তু বর্ষায় চার কিমি হেঁটে স্কুলে যেতে হয়।” এলাকার রায়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কংগ্রেসের জানমহম্মদ মণ্ডল বলেন, “ওই রাস্তা নিয়ে প্রায়ই নানা অভিযোগ পাই। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে।”
|
কংগ্রেসকর্মীর দেহ গঙ্গায় |
বহরমপুর সদর হাসপাতালের সামনে থেকে সোমবার রাতে নিখোঁজ কংগ্রেসকর্মী বাপি ঘোষের দেহ মিলল তারানগর ঘাটে। এ দিন সকালে ওই খুনে জড়িত সন্দেহে কালু কুণ্ডু এবং সানি শেখ নামে দুই যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীরের দাবি, জেরায় ধৃতেরা স্বীকার করেছে, সোমবার রাতে বহরমপুর সদর হাসপাতাল লাগোয়া এলাকায় খুন করা হয় বছর পঁয়তাল্লিশের বাপিকে। তার পর একটি রিকশায় দেহটি তুলে নতুনবাজার এলাকায় দশমুণ্ড কালীবাড়ির ঘাটে ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। বহরমপুর সদর হাসপাতালে যে বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সগুলি রোগীদের ভাড়া দেওয়া হয়, তা নিয়ন্ত্রণ করতেন বাপি। এই নিয়ে বাপির সঙ্গে সানিদের বেশ কিছু দিন ধরেই বিরোধ চলছিল বলে পুলিশ জানায়। পুলিশের অনুমান, বিরোধের পরিণতিতেই এই খুন।
|
মহিলার পরিচয় জানা যায়নি |
রেলপুলিশকে প্রতারণা করে ধৃত মহিলার প্রকৃত পরিচয় বুধবারেও জানা যায়নি। দু’দিন ধরে জেরার মুখে যে যে ঠিকানা ও নাম-পরিচয় তিনি দিয়েছেন, পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, তার সবই ভুয়ো। গত ১৮ মে ওই মহিলা কৃষ্ণনগর স্টেশনে রেল পুলিশের থানাতে গিয়ে নিজেকে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক ডিআইজি’র স্ত্রী বলে পরিচয় দেন। তারপরে তাঁর সর্বস্ব চুরি হয়ে গিয়েছে দাবি করে কিছু টাকা ‘সাহায্য’ চান। তাই নিয়ে তিনি বেপাত্তা হয়ে যান। তারপরে বেলডাঙা রেলপুলিশ থানা ও কাটোয়া রেলপুলিশ থানাতেও একই ভাবে প্রতারণা করেছেন। মহিলা এখন অসুস্থ হয়ে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি। রেলপুলিশের রানাঘাটের ডিএসপি চন্দ্রকান্ত দাস মহাপাত্র বলেন, “জেরার সময়েও মহিলা বারবার আমাদের বিভ্রান্ত করছেন। তাই এখনও তাঁর প্রকৃত পরিচয় আমরা জানতে পারিনি।”
|
স্ত্রীকে খুনে গ্রেফতার স্বামী |
স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন স্বামী। মঙ্গলবার কালীগঞ্জের পলাশির বড় চাঁদঘর এলাকার ঘটনা। এ দিন শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝর্ণা বিবি (২১) নামে ওই মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঝর্ণা বিবির মা খোখো বিবি তাঁর মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জামাই গাজন শেখ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বুধবার পুলিশ গাজন শেখকে গ্রেফতার করে। তবে বাকি অভিযুক্তেরা পলাতক।
|
এক মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। নাম মধুছন্দা মণ্ডল (৩২)। বাড়ি বড়ঞার দেবগ্রামে। মঙ্গলবার রাতে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের অনুমান, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। |