সংখ্যালঘুদের জন্য গুচ্ছ প্রকল্প বামফ্রন্টের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
ভোটের দামামা বাজার মুখে, ত্রিপুরার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রামগুলির উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকার। ন্যূনতম ২০ শতাংশ ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের বসবাস যে সব গ্রামে, সেখানেই এ ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, যে সমস্ত গ্রামে ৩০ শতাংশ বা তার বেশি সংখ্যক সংখ্যালঘু মানুষের বাস, সেগুলিকে ‘গুচ্ছ প্রকল্পের’ আওতাভুক্ত করা হয়েছিল। এই বিশেষ শ্রেণিভুক্ত গ্রামের সংখ্যা ছিল ৭২টি। তিনি জানান, এখন বিষয়টি ৩০ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে, যে গ্রামের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ বা তার বেশি মানুষ সংখ্যালঘু হলে সেখানেও এ ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প চালু করা হবে।
রাজ্য সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প প্রধানত গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত। এর মধ্যে রয়েছে: সড়ক যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, পানীয় জল, সেচ, স্বাস্থ্য, বাজার ইত্যাদি নির্মাণ। ত্রিপুরার বিভিন্ন জেলায় কোথায়, কত এ ধরনের গ্রাম আছে, সেগুলি চিহ্নিত করে প্রয়োদনীয় সমীক্ষাও শেষ হয়েছে। সমীক্ষা অনুযায়ী চিহ্নিত হয়েছে আরও ৭৯টি গ্রাম। অর্থাৎ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মোট ১৫১টি গ্রাম এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। তাঁর কথায়, ত্রয়োদশ অর্থ কমিশন রাজ্যকে আর্থিক দিক থেকে বঞ্চিত করেছে। সেই আর্থিক বঞ্চনার প্রসঙ্গে রাজ্য সরকার যাবতীয় তথ্য-সহ একটি পুস্তিকাও প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হলেও তাতে কোনও সুরাহা হয়নি। এই পরিস্থিতির মধ্যেই রাজ্য সরকার রাজ্যবাসীর স্বার্থে এবং সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রামগুলির উন্নয়নে কিছু প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রামগুলির উন্নতির জন্য রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের (সংখ্যালঘু সেল) নেতা বিল্লাল মিয়াঁ বলেন, ‘‘২০১৩ সালে এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের ভোট পেতে মুখ্যমন্ত্রী এখন এ কথা বলছেন।’’ |