অসমের বিদ্যুৎক্ষেত্রে দ্বিতীয় দফার সংস্কার |
অসমে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পর্যায়ের সংস্কার শীঘ্র শুরু হচ্ছে। সাম্প্রতিক বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার পর আজ এই কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী প্রদ্যোৎ বরদলৈ। তিনি জানান, এ বার উৎপাদনের ক্ষেত্রটিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
২০০৫ সালে অসম রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদকে পাঁচটি কোম্পানিতে ভাগ করে রাজ্যের বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ের সংস্কার শুরু হয়। কিন্তু ক’দিন আগে বাইরে থেকে বিদ্যুৎ কিনে আনার লাইনে দু’টি টাওয়ার ভেঙে পড়লে চরম বিপর্যয় দেখা দেয়। তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন রাজ্যের মানুষ। মেরামতির পর এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও লোডশেডিং থেকে রেহাই মেলেনি।
বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ মিলছে না বলেই এই অবস্থা। রাজ্যে যেখানে ৭২০ থেকে ৭৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন, সেখানে নিজস্ব উৎপাদন মাত্র ১৩০ থেকে ১৫০ মেগাওয়াট। কিনে আনা হয় আরও ৪০০ মেগাওয়াট। ফলে ১০০ থেকে ১৫০ মেগাওয়াটের ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। তবে তিনি আশাবাদী, কয়েক মাসের মধ্যেই পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে। আগামী বছরে বঙ্গাইগাঁও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পাওয়া যাবে ২৪০ মেগাওয়াট। ত্রিপুরার পালাটানা প্রকল্প থেকেও আসবে ১২০ মেগাওয়াট।
নিজস্ব উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়ে বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন চারটি বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনায় রয়েছে ১০টি ছোট ছোট প্রকল্পও।
এ ছাড়া, যে সব রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা নিজেদের ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে, তাদের কাছেও সাধারণের ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ চাওয়া হয়েছে। ডিগবয় তেল শোধনাগার ৬ মেগাওয়াট দেবে বলে কথা দিয়েছে।
প্রথম সংস্কারে সরকারি বিভাগ কোম্পানিতে পরিণত হয়। এ বার যে বেসরকারিকরণের দিকে এগোচ্ছে, তার ইঙ্গিত দিয়ে বরদলৈ বলেন, কোম্পানির কর্মসংস্কৃতিতে পরিবর্তন না হলে ওই পথেই এগোতে হবে। |