ফ্ল্যাটে বঞ্চনা, সুরাহা চেয়ে রাতে মুখ্যমন্ত্রীরই বাড়ির কাছে দরবার |
নতুন ফ্ল্যাট বিলিতে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ। আর সেই অভিযোগ জানাতে বুধবার গভীর রাতে সোজা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে জড়ো হলেন চেতলাহাট রোডের কেএমডিএ আবাসনের কিছু বাসিন্দা। মমতার কাছে পৌঁছনোর আগেই পুলিশ তাঁদের আটকায়। পরে তাঁরা যান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়ির সামনে। রাস্তার পাশে গাছতলায় বসে বাসিন্দাদের অভিযোগ শোনেন ফিরহাদ। পুরমন্ত্রী সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়ার পরে চলে যান ওই বাসিন্দারা।
চেতলা হাট কেএমডিএ আবাসনের বাসিন্দাদের বক্তব্য, বেশ কয়েক বছর আগে বস্তি উচ্ছেদ করে সেই জায়গায় তৈরি আবাসনে থাকতে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু ওই আবাসনও ভেঙেচুরে বিপজ্জনক হয়ে পড়ায় দ্বিতীয় দফায় নতুন আবাসন গড়ে তোলা হয়। লটারির মাধ্যমে সেখানকার ফ্ল্যাট বিতরণের কথা ছিল। কিন্তু পুরনো আবাসনের অনেক বাসিন্দাকেই ফ্ল্যাট দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। গণেশ সাউ নামে এক বাসিন্দা বলেন, “অনেক পুরনো বাসিন্দার বদলে বাইরের লোককে ফ্ল্যাট দেওয়া হয়েছে।” এই নিয়ে জটিলতার মীমাংসা না-হওয়ায় বঞ্চিত বাসিন্দারা বেশি রাতেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। পুলিশি সূত্রের খবর, মমতাকে নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে পুরুষ, মহিলা মিলিয়ে চেতলাহাটের প্রায় ১০০ জন বাসিন্দা রাত ১২টা নাগাদ হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে পৌঁছন। কিন্তু কালীঘাট থানার পুলিশ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কিছুটা দূরেই তাঁদের আটকে দেয়। বুঝিয়েসুজিয়ে তাঁদের পাঠানো হয় চেতলায় পুরমন্ত্রীর বাড়িতে। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁরা সেখানে গেলে ফিরহাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে চেতলা সেন্ট্রাল পার্কের সামনে এসে ওই বাসিন্দাদের অভিযোগ শোনেন। পরে তিনি বলেন, “পুরো বিষয়টির তদন্ত হবে। আমার ধারণা ছিল, সকলেই ফ্ল্যাট পেয়েছে। কিন্তু এখন শুনছি, তা নয়। আমি ওই এলাকায় গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করব। পুরনো বাসিন্দাদের সকলকেই ফ্ল্যাট দেওয়া হবে।” |