সিপিএম রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল ৩৪ বছর। আর ৪৩ বছর সিপিএমের দখলে ছিল বরাহনগর পুরসভা। তা সত্ত্বেও নাগরিক পরিষেবার ক্ষেত্রে বরাহনগরের প্রাপ্তি শূন্য বলে অভিযোগ করলেন স্থানীয় সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সৌগত রায়। বুধবার সন্ধ্যায় সিঁথির মোড়ে এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর সুরেই স্থানীয় বিধায়ক তাপস রায় বলেন, “বরাহনগরে এত দিন ভোট হত না। তাই ওদের (সিপিএম-কে) কোনও কাজও করতে হত না!”
৪৩ বছর পরে এ বার সিপিএমের হাত থেকে বরাহনগর পুরসভার দখল নিয়েছে তৃণমূল। এ দিন সিঁথির মোড়ের কাছে সার্কাস মাঠে কেএমডিএ-র ওই অনুষ্ঠানে বরাহনগর পুরসভার নিকাশি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন সৌগতবাবু। তাঁর প্রশ্ন, প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু বরাহনগর কেন্দ্র থেকে ছ’-ছ’বার বিধায়ক হয়েছিলেন।
প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী অমর চৌধুরীও জিতেছিলেন এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। তবু বরাহনগরে পুর পরিষেবার ছিটোফোঁটা নেই কেন?
কেএমডিএ সূত্রের খবর, ফি-বর্ষায় বরাহনগরের ৩৪টি ওয়ার্ডে জল জমে। সেই সমস্যা মেটানোর জন্য জেএনইউআরএম প্রকল্পে প্রায় ৩৫ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নিকাশির কাজ শুরু হচ্ছে। তাতে বিটি রোডের ধারে থাকা ৪০ বছরের পুরনো বক্স ড্রেনও সংস্কার করা হবে। কাজ শেষ হবে এক বছরের মধ্যে।
সৌগতবাবু জানান, শুধু নিকাশি নয়, এখানে চিকিৎসা ব্যবস্থারও উন্নতি ঘটানো হবে।
দিল্লির একটি সরকারি সংস্থার সহায়তায় সংস্কার করা হবে বরাহনগর পুর হাসপাতাল। তিনি বলেন, “গরিবদের উপরে কর না-চাপিয়ে ধনী, প্রোমোটারদের কাছ থেকে সদুপায়ে কর আদায় করে পুরসভার রাজস্ব বাড়াতে হবে।” |