এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁকে ছুরি মারা ও এক মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগে কালনা ১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার ভোরে রাখহরি সেন নামে ওই সিপিএম নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাখহরিবাবু ছাড়াও এই ঘটনায় আরও ছ’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সিপিএমের অবশ্য দাবি, এই অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
কালনার গুপ্তিপুর গ্রামের তৃণমূল নেতা অশোক কোটালের পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়, সোমবার রাতে রাখহরিবাবু-সহ সাত জন বাড়িতে চড়াও হন। তাঁরা অশোকবাবুকে ছুরি মারেন। বাড়ির এক মহিলার শ্লীলতাহানিও করা হয় বলে অভিযোগ। অশোকবাবুকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কালনা থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে গ্রেফতার করা হয় রাখহরিবাবুকে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
রাখহরিবাবু বেশ কয়েক বছর আগে কালনা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন। সিমলন-আটঘোড়িয়া পঞ্চায়েতের প্রধানও ছিলেন। বর্তমানে তিনি সিপিএমের কালনা ১ উত্তর লোকাল কমিটির সদস্য। তৃণমূলের জেলা সভাপতি (গ্রামীণ) স্বপন দেবনাথের অভিযোগ, “দীর্ঘদিন ধরে ওই সিপিএম নেতা এলাকার মানুষজনের উপরে অত্যাচার চালাচ্ছেন।”
সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য দলীয় নেতার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে চাননি। দলের কালনা ১ উত্তর লোকাল কমিটির সম্পাদক সুশীল সিংহের দাবি, “আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, যে দিন ওই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ, রাখহরি সে দিন ওখানে যাননি। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হল তাঁকে। দলের তরফে এর প্রতিবাদ করা হবে।” বুধবার কালনা আদালতে তোলা হলে রাখহরিবাবুকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। |