নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
পুলিশি হস্তক্ষেপে অবশেষে চিত্তরঞ্জন-আসানসোল রুটের বাস চলাচল স্বাভাবিক হতে চলেছে। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে এই রুটের সমস্ত বাস চলবে বলে জানিয়েছেন বাসমালিক ও কর্মীরা। অটোচালকদের সঙ্গে বিবাদের জেরে সোমবার থেকে টানা ৭২ ঘণ্টা এই রুটে বাস চলেনি।
বুধবার দুপুরে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (ট্রাফিক) ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাসের মালিক ও কর্মীরা। তাঁদের পক্ষ থেকে মূলত রূপনারায়ণপুর, চিত্তরঞ্জন এলাকায় লাইসেন্স না থাকা অটোর চলাচল বন্ধ করার দাবি জানানো হয়। প্রথম থেকেই তাঁরা অভিযোগ জানাচ্ছিলেন, পুরুলিয়া জেলা ও ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে চলাচলের অনুমোদনপ্রাপ্ত বহু অটো চিত্তরঞ্জন, রূপনারায়ণপুর, সামডি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় অবৈধ ভাবে যাত্রী পরিবহণ করছে। এর ফলে চিত্তরঞ্জন-আসানসোল রুটের বাস মালিকদের ব্যবসা মার খাচ্ছে। অটোচালকদের সঙ্গে বিবাদ বাধছে বাসকর্মীদের। এর জেরেই ওই রুটে বাস বন্ধ করে দেন কর্মীরা।
এডিসিপি (ট্রাফিক) আশ্বাস দেন, অবিলম্বে পুলিশ বেআইনি অটো চলাচলের উপরে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করবে। এর পরেই বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন মালিক ও কর্মীরা। আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত বাসকর্মী সংগঠনের সম্পাদক রাজু অহলুওয়ালিয়া বলেন, “বাস বন্ধ রেখে আমরা সাধারণ মানুষের অসুবিধায় ফেলতে চাই না। কিন্তু বাসকর্মীদের মারধর করা হলে আমরা তার প্রতিবাদ করব।” আসানসোল মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদীপ রায় বলেন, “পুলিশকর্তার আশ্বাসে আমরা বাস চালাচ্ছি। কিন্তু এর পরেও আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত হলে মহকুমা জুড়ে প্রতিবাদ হবে।” চিত্তরঞ্জন, রূপনারায়ণপুর-সহ শিল্পাঞ্চলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যে আসানসোলের ‘রেজিস্ট্রেশন’ ছাড়াই একাধিক অটো চলাচল করে, সে খবর তাঁদের কাছে আগেই এসেছে বলে জানান এডিসিপি (ট্রাফিক)। তিনি বলেন, “এই সব অটোর বিরুদ্ধে আমরা কড়া পদক্ষেপ করতে শুরু করেছি। পুরোপুরি বন্ধ করতে পুলিশকে আরও একটু সময় দিতে হবে।” ভাস্করবাবু জানান, পুলিশ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে লাইসেন্স না থাকা প্রচুর অটো বাজেয়াপ্ত করেছে। অভিযান চলছে। |