বাড়ির কাছেই মিলল ইঞ্জিনিয়ারের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ
বাড়ির অদূরে মিলল এক ইঞ্জিনিয়ারের গুলিবিদ্ধ দেহ। মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ শিলিগুড়ি লাগোয়া ভক্তিনগর থানার সেবক রোডের দুই মাইল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত সন্দীপ সিংহ (৩০)-র বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। দুই মাইলের দেবী চৌধুরানি রোডের একটি আবাসনে তিনি থাকতেন। ন্যাশনাল হাইডেল পাওয়ার কর্পোরেশন (এনএইচপিসি) অধীন একটি সংস্থায় কালিঝোরায় কর্মরত ছিলেন। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার সুগত সেন বলেন, “ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া যায়নি। তদন্ত শুরু হয়েছে।”
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, মোটর বাইকে করে গিয়ে দুই যুবক সন্দীপকে খুব কাছ থেকে বুকে গুলি করে পালিয়েছে। পেশাদার কোনও দুষ্কৃতী ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। সে কারণে একটি গুলি করার পরই রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় তিনি লুটিয়ে পড়েন। পরে সেবক রোডের একটি নার্সিংহোমে আনার পরে চিকিৎসকেরা সন্দীপবাবুকে মৃত ঘোষণা করেন।
দুই মাইল এলাকায় পড়ে রয়েছে সন্দীপ সিংহের দেহ। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
বছর খানেক আগে বিয়ের পরে সন্দীপবাবু পরিবার নিয়ে ওই এলাকায় ভাড়া থাকতেন। বাড়ির মোড়ের কাছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে প্রতিদিনই অফিসের বাস থেকে নামতেন তিনি। জাতীয় সড়ক থেকে তাঁর আবাসনটি প্রায় ৫০ মিটার দূরে। সরু পাথুরে রাস্তা ধরে হেঁটেই বাড়ি ফিরতেন সন্দীপ। স্থানীয় বাসিন্দা দীপক কুমার রায়, শচীন ছেত্রীরা জানান, গুলির আওয়াজ পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। নিহতের পিঠে ল্যাপটপের একটি ব্যাগ ছিল। দু’জনকে মোটরবাইক নিয়ে পালিয়ে যেতেও দেখেন কয়েকজন বাসিন্দা। নিহতের বুকে ও মাথায় আঘাত ছিল।
নিহতের মা বীণাদেবী বলেন, “প্রতিদিন রাত ৮টা নাগাদ সন্দীপ বাড়ি ফিরত। এ দিন বাড়িতেই ছিলাম। হঠাৎ শুনলাম আমার ছেলেকে কেউ গুলি করেছে। আমাদের সঙ্গে কারও শত্রুতা নেই। অফিসের কোনও ব্যপারেই ওকে গুলি করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।” নিহতের সহকর্মী অম্লান শতপথী বলেন, “অফিসে সারাদিন ছিল। এ দিনও ওঁকে হাসিখুশি দেখেছি। সন্দীপের কারও সঙ্গে কোনও সমস্যা রয়েছে বলে আমার জানা নেই। বাড়ির সামনে এই ভাবে কেন খুন হয়ে গেলেন তা বুঝতে পারছি না।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.