১০০ দিন কাজের প্রকল্পে শ্রমিকদের জবকার্ড ও পাশবই আটকে রাখা-সহ একাধিক অভিযোগ উঠল পাত্রসায়র পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য তথা বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে। পাত্রসায়র ব্লকের বীজপুর ও ভেটিয়া গ্রামের বাসিন্দা ২৪ জন দিনমজুর এই মর্মে মঙ্গলবার বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিডিও বাপ্পাদিত্য দত্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। যদিও অভিযুক্ত নেতা আশিস পাত্র অবশ্য অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন।
তৃণমূলের পাত্রসায়র ব্লক সভাপতি স্নেহেশ মুখোপাধ্যায় বলেন, “গরিব দিনমজুরদের জবকার্ড আটকে রাখাটা বেআইনি। আমরাও চাইছি প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক। দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানো হবে।” বীজপুর গ্রামের বাসিন্দা নবকুমার বাগদি, অভয় খাঁ, মাধব বাগদি, দীপক বাগদিদের অভিযোগ, “মাস খানেক আগে এলাকার একটি পুকুর ও খাল খননের কাজ হয়। সেই কাজের পর থেকে আমাদের জবকার্ড ও পাশবই নিজের কাছে আটকে রেখেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আশিস পাত্র। বার বার চেয়েও তা পইনি।” স্থানীয় বাসিন্দা সৌগত সরকার, নবগোপাল বাগদিদেরও অভিযোগ, “পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা হওয়ার সুযোগ নিয়ে আশিস পাত্র মিনিকিট থেকে ধানঝাড়া মেশিন বিলি, সবক্ষেত্রে স্বজনপোষণ করেছেন।”
আশিসবাবুর দাবি, “দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের একটি পুকুর চাষ করা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। আমি চেষ্টা করেও সেই বিরোধ মেটাতে পারিনি। একপক্ষ এখন আমাদের দলের এক গোষ্ঠীর মদত নিয়ে আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে মিথ্যা অভিযোগ করছে। তবে কারও জবকার্ড বা পাশবই আমি আটকে রাখিনি।” তিনি বলেন, “১০০ দিন কাজের সুপারভাইজাররা ওঁদের জবকার্ড ও বই আটকে রেখেছে কি না তা আমার জানা নেই।”
বিডিও বাপ্পাদিত্য দত্ত বলেন, “বীজপুর ও ভেটিয়া গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য আশিস পাত্রের বিরুদ্ধে জবকার্ড ও পাশবই আটকে রাখার অভিযোগ জানিয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |