টুকরো খবর
জমি বিবাদে কুপিয়ে খুন ডোমকলে
শোকার্ত পরিজন। ছবি: বিশ্বজিৎ রাউত।
জমি নিয়ে দুই পরিবারের বিবাদে খুন হয়েছেন দু’জন। নাম কাদের শেখ (৬৫) ও তাঁর মামিমা জাবেদা বিবি (৭৫)। জাবেদা বিবির স্বামী হাজি হজরত শেখ গুরুতর জখম অবস্থায় বহরমপুর নিউ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে জলঙ্গির খয়রামারি গ্রামে। রাত পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন,‘‘জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ওই দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা হচ্ছিল। তার জেরেই এই ঘটনা। লিখিত অভিযোগ হয়নি। তবে অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। ওই এলাকায় একটি পুলিশ পিকেটও বসানো হয়েছে।’’ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, হাজি হজরত শেখ ও কাদের শেখ মামা-ভাগ্নে। ১০ কাঠার একটি জমি নিয়ে বছর দু’য়েক ধরে দুই পরিবারের মধ্যে গণ্ডগোল চলছিল। বিষয়টি আদালত পর্যন্তও গড়ায়। এখনও পর্যন্ত মামলার নিষ্পত্তি হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এ দিন সকালেও ওই দুই পরিবারের মধ্যে বচসা শুরু হলে কাদের সেখ বৃদ্ধ মামা ও মামিমাকে মারতে শুরু করে। হজরতের বাড়ির লোকজনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাদেরকে কোপায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান কাদের। কাদেরের পরিবারের লোকজনও হজরত শেখ ও তার স্ত্রী জাবেদা বিবিকে পাল্টা আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। তাঁদের বহরমপুর নিউ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জাবেদা বিবি সেখানে মারা যান। ঘটনাস্থলে যান এসডিপিও দেবর্ষি দত্ত। চলছে পুলিশি টহলদারি।

প্রযুক্তির দোষে বিদ্যুতের ‘ভুতুড়ে’ বিল
এক চিলতে ঘর। একাই থাকেন বছর বাহাত্তরের মহারানি রায়। গরম কালে মাথার কাছে একটা টেবিল ফ্যান ঘোরে। রাতে টিমটিমে একটা বাল্বের আলোই যথেষ্ট। দিন সাতেক আগে বিদ্যুতের বিল দেখে মাথায় হাত মহারানিদেবীর। ৮৪ লক্ষ এক হাজার চারশো তেত্রিশ টাকা তাঁর কাছে বকেয়া রয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর। কী করবেন, কোথায় যাবেন বুঝেই উঠতে পারেননি। তাঁর নাতি ঋতম সাহা বলেন, “বিল দেখে বোঝাই যাচ্ছে কিছু একটা ভুল হয়েছে। কিন্তু দিদিমাকে তো সেটা বোঝাতে পারছি না। উনি ভাবছেন টাকা দিতে না পারলে বুঝি সংযোগ কেটে দেওয়া হবে! বুড়ো মানুষটাকে এ ভাবে হয়রান করার তো কোনও মানে হয় না।” শুধু মহারানিদেবীই নন, এ রকম ভুতুড়ে বিদ্যুত বিল পেয়েছেন কৃষ্ণনগরের আরও অনেক বাসিন্দাই। যেমন কৃষ্ণনগর বাসস্ট্যান্ডের নির্মল দাসের হাতে এসেছে ৮৮ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকার বিল। যদিও রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের কৃষ্ণনদর শাখার ম্যানেজার রাজু মণ্ডল বলেন, “বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে এ রকম বিল এসেছে। আমাদের প্রযুক্তিগত কয়েকটা ত্রুটির জন্য এরকম হয়েছেয় নতুন সেন্ট্রাল সার্ভার বসানো হয়েছে। ফলে পুরনো ব্যবস্থা থেকে নতুন প্রযুক্তিতে যাওয়ার ফলে কিছু ক্ষেত্রে এই সমস্যা হচ্ছে। আমাদের কাছে ওই বিলগুলি নিয়ে এলে আমরা সমস্যা সমাধান করে দেব।”

নির্দেশ অমান্য করে খোলা স্কুল
সরকারের নির্দেশের তোয়াক্কা না করেই প্রচন্ড দাবদাহের মধ্যেই এখনও চলছে সাগরদিঘির কাবিলপুর হাইস্কুল। প্রায় ২৪০০ ছাত্রছাত্রীর ওই স্কুলে দুপুরে ক্লাস করতে গিয়ে রীতিমতো কষ্ট হচ্ছে পড়ুয়াদের। অভিভাবকদের অভিযোগ, এলাকার সমস্ত স্কুলে ছুটি পড়ে গেলেও এখনও স্কুল চালাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। এমনকী কেউ আপত্তি জানালেও তা গ্রাহ্য করা হচ্ছেনা। প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান বলেন, “রাজ্য সরকারের ঘোষণা মেনে মঙ্গলবার স্কুলে ৫ দিনের ছুটি ঘোষণা করি। কিন্তু কোনও সরকারি নির্দেশ হাতে না পাওয়ায় সোমবার থেকে পুনরায় স্কুল চালু করা হয়েছে। সামনে তৃতীয় ইউনিট টেস্ট। ক্লাস চলছে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতেও। স্কুলে গ্রীষ্মাবকাশ নির্দিষ্ট ছিল ১৭ জুন থেকে। তাই স্কুল খোলা হয়েছে। জানি গরমে পড়ুয়াদের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতির হার খুব একটা কমেনি।” জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) শুভেন্দুবিকাশ দত্ত বলেন, “সরকারের নির্দেশ মেনে সব স্কুলকেই ছুটি দিতে বলা হয়েছে। কেন সরকারি নির্দেশ না মেনে স্কুল খুলে রাখা হয়েছে সে ব্যাপারে জবাব চাওয়া হবে প্রধান শিক্ষকের। বুধবারই ব্যবস্থা নেওয়া হবে ওই স্কুলের বিরুদ্ধে।”

স্নেহার দায়িত্ব নিল কমিটি
‘অভাবের তাড়নায়’ নিঃসন্তান এক দম্পতির হাতে নিজের মেয়েকে তুলে দিয়েছিলেন মা। জানাজানি হতেই পুলিশ আটক করেছিল মাকে। উদ্ধার করা হয়েছিল ছোট্ট স্নেহাকেও। মঙ্গলবার কোতোয়ালি থানার পুলিশ স্নেহাকে তুলে দিল চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে। অসুস্থ স্নেহাকে আপাতত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশ দিয়েছে কমিটি। শুরু হয়েছে তার চিকিৎসাও। কমিটির চেয়ারম্যান রিনা মুখোপাধ্যায় বলেন, “আইনের নির্দেশ মেনে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”

মাদক পাচারে সাজা
মাদক পাচারে মঙ্গলবার দু’জনকে ১০ বছর কারাদণ্ড দিলেন নদিয়ার প্রথম অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক শম্পা দত্ত পাল। ওই দুই অভিযুক্ত অসিত বিশ্বাস ও সমর মণ্ডলকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লক্ষ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।

ব্যাঙ্কে বিক্ষোভ
ব্যাঙ্কে কর্মী নেই। সকাল থেকে রোদ্দুরে দাঁড়িয়ে থেকেও মিলছে না পরিষেবা। এমনই অভিযোগ করে মঙ্গলবার সকালে নবদ্বীপের তাঁত কাপড় হাট সংলগ্ন একটি রাষ্টায়ত্ব ব্যাঙ্কে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রাহকেরা। এক গ্রাহক বিপ্লবকুমার দে বলেন, “পরিষেবা বলে কিছুই নেই। মাত্র চার জন কর্মী রয়েছেন। বহুবার অভিযোগ করেছি। সমস্যার সমাধান হয়নি।” ব্যাঙ্ক মানেজার দিলীপকুমার প্রামাণিক বলেন, “কর্মী নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কর্মী নিয়োগ করা হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.