নামে ‘সিনিয়র’ অর্থাৎ উচ্চমাধ্যমিক হলেও ‘বেলডাঙা দারুল হাদিস সিনিয়র মাদ্রাসা’য় এমএ-ও পড়ানো হয়।
২০০৭ থেকে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাজ্যে যে ৪টি মাদ্রাসায় এমএ সমতুল্য এমএম অর্থাৎ মুমতাজুল মুহাদ্দেসিন পড়ানো হয় তার মধ্যে ‘বেলডাঙা দারুল হাদিস সিনিয়র মাদ্রাসা’ অন্যতম। একই ছাদের তলায় এখানে প্রথম শ্রেণি থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পড়ানো হয়। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এ বার মাদ্রাসা বোর্ডের মাধ্যমিক সমতুল আলিম পরীক্ষায় দু’জন রাজ্যের মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। রবিউল ইসলাম এবং আখতারুল ইসলাম। |
এ বারই অবশ্য প্রথম নয়, মাঝেমধ্যে ব্যতিক্রমী ফল করে চমকে দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে মাদ্রাসাটির। মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বা সুপার নুরুল ইসলামও এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র হিসাবেই ১৯৮৪ সালের আলিম পরীক্ষায় রাজ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে চমকে দিয়েছিলেন। ৫৩ শতক জমির উপর ওই মাদ্রাসা ভবনটি তিনতলা। প্রথম শ্রেণি থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ২০০০। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে সংখ্যাটি ৩৫। এ বার ওই মাদ্রাসা থেকে ৬৩ জন উচ্চ মাধ্যমিক সমতুল্য ফাজিল পরীক্ষা দেন। উত্তীর্ণ হয়েছেন ৬০ জন। ৮০ জন মাধ্যমিক সমতুল আলিম পরীক্ষা দেয়। উত্তীর্ণ হয়েছে মাত্র ৪০ জন। ফাজিল পরীক্ষায় ৬৩ জনের মধ্যে ৬০ জন উত্তীর্ণ আর আলিম পরীক্ষায় ৮০ জনের মধ্যে ৪০ জন উত্তীর্ণ কেন? প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, “আলিম পরীক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ আসে এমএসকে থেকে। অষ্টম শ্রেণি পাশ করার পর তারা মাদ্রাসায় নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। এমএসকে-তে আরবি নেই, কিন্তু আলিম পরীক্ষায় আরবি ভাষা, হাদিস, আরবি সাহিত্য, কোরানের ব্যাখ্যা ও ধর্মতত্ত্ব মিলিয়ে মোট ৪টি বিষয়ের উপর সাড়ে ৩০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। তার সবটাই আরবি ভাষায় পড়তে ও লিখতে হয়। ফলে এমএসকে থেকে আসা ছাত্রছাত্রীদের আলিম পরীক্ষায় রেজাল্ট খারাপ হয়।”
মাদ্রাসা বোর্ডের সদস্য নুরে খোদা বলেন, “এ বার গত বছরের চেয়েও মুর্শিদাবাদ জেলায় মাদ্রাসা বোর্ডের মাধ্যমিক, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে এ জেলার প্রায় ১২ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে এ বার ১১ হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। শতকরা হিসাবে যা ৭৭ ভাগেরও বেশি।” |