|
|
|
|
জঙ্গলমহলে অনেকেই পাননি নতুন রেশনকার্ড |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জঙ্গলমহলের দরিদ্র আদিবাসীদের ২ টাকা কেজি চাল দিতে বিশেষ প্রকল্প চালু করেছিল সরকার। সেই প্রকল্পে নতুন রেশন-কার্ড দেওয়ার কথা। কিন্তু নতুন সরকারের এক বছর হতে চলল, এখনও সকলকে নতুন রেশন-কার্ড দেওয়া যায়নি। যাদের নতুন রেশন-কার্ড দেওয়া হয়েছে, তাঁদের সকলের থেকে পুরনো কার্ড ফেরতও নিতে পারেনি খাদ্য দফতর। প্রায় অর্ধেক মানুষের কাছে নতুন ও পুরনো দু’টি কার্ডই থেকে গিয়েছে।
সমস্যা সমাধানে কী ভাবছে খাদ্য দফতর? পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা খাদ্য নিয়ামক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “দ্রুত গতিতেই নতুন রেশন-কার্ড দেওয়ার কাজ চলছে। আশা করা যায়, কিছুদিনের মধ্যেই সকলে নতুন রেশন-কার্ড পেয়ে যাবেন।” আর পুরনো রেশন-কার্ড ফেরতের ব্যাপারে খাদ্য নিয়ামকের বক্তব্য, “সকলকেই পুরনো রেশন-কার্ড ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে। পরবর্তীকালে যাতে রেশন ডিলারেরাও পুরনো কার্ড ফেরত নিয়ে খাদ্য দফতরে জমা দেন, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জঙ্গলমহলের গরিব মানুষকে ২ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার উদ্যোগ বাম আমলেই শুরু হয়েছিল। তখন দারিদ্রসীমার উপরে থাকা অনেকেও বিপিএল তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। রাজ্যে নতুন সরকার আসার পর পশ্চিম মেদিনীপুরের মাওবাদী প্রভাবিক ১১টি ব্লকের গরিব মানুষকে আরও সুবিধে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়িয়ে দেওয়া হয় আয়ের ঊর্ধ্বসীমা। পরিবারের বার্ষিক আয় ৩৬ হাজার টাকা হলেই সেই পরিবার ২ টাকা কেজি দরে চাল-গম পাবে বলে ঘোষণা করা হয়। তফসিলিদের বার্ষিক আয় হতে হবে ৪২ হাজার টাকা। প্রশাসন সূত্রের খবর, নতুন মাপকাঠি অনুসারে জঙ্গলমহলের ৭ লক্ষ ৯৯ হাজার ৮৯২ জন বাসিন্দা এই বিশেষ প্রকল্পের আওতায় এসেছেন। শুরু হয়েছে নতুন রেশন-কার্ড বিলির কাজও। এ যাবৎ ৬ লক্ষ ১০ হাজার ২৮৩ জনকে কার্ড দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বাকিরা এখনও নতুন কার্ড পাননি। আর পুরনো কার্ড ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে মাত্র ৩ লক্ষ ৮০ হাজার ৪১৩ জনের কাছ থেকে। লক্ষ লক্ষ পুরনো কার্ড জমা না নিলে কোটি কোটি টাকা নয়ছয়ের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সমস্যা সমাধানে তৎপর হয়েছে খাদ্য দফতর। কোন এলাকা থেকে কত কার্ড সংগ্রহ করা যায়নি তার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|