পঞ্জাব ১ (গুরপ্রীত)
বাংলা ২ (মুখতার, তপন) |
সন্তোষ ট্রফিতে জয়ের খাতায় নাম তুলতে বাংলার কত সময় লাগল? উত্তর হল, দু’শো আটষট্টি মিনিট।
শুক্রবার দলের চার অভিজ্ঞ ফুটবলার তারিফ আমেদ, গৌর নস্কর, জামিল এবং তপনকে বাইরে রেখে প্রথম দল গড়েছিলেন সাব্বির আলি। সেখানে কোচের বিশ্বাসের মর্যাদা দিলেন তরুণরা। মহম্মদ মুখতার, সুরাবুদ্দিন মল্লিকরা এ দিন বাংলার হয়ে কটকে সেরা ম্যাচ খেললেন। ম্যাচের পর স্বয়ং বাংলা কোচ বললেন, “এই প্রথম একটা দল মনে হচ্ছিল বাংলাকে।” বুঝতে অসুবিধা হল না, হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন সাব্বির। যাই হোক না কেন, সব ম্যাচ হেরে কটক থেকে কলকাতায় ফিরতে হচ্ছে না!
বাংলার শুরুটা অবশ্য ধীরে চলো গতিতেই এগোয়। সেই মিস পাসের ছড়াছড়ি, বোঝাপড়াহীন ফুটবল। ম্যাচের পনেরো মিনিটে সাব্বিরের নড়বড়ে রক্ষণের সুযোগ নিয়েই পঞ্জাবের প্রথম গোল। গুরপ্রীত সিংহ ডান দিক থেকে তর তর করে দৌড়ে বাংলার গোলপোস্টের কাছে গিয়ে থামলেন। বাংলার গোলকিপার প্রসেনজিৎ ঘোষের একদম পায়ের সামনে। আর গ্যালারির দর্শকদের মতোই সাগ্রাম মাণ্ডি, মোহন সরকাররা দাঁড়িয়ে দেখলেন কী ভাবে গুরপ্রীত গোল করলেন।
সাব্বিরের সৌভাগ্য, পঞ্জাবের দলের অবস্থা বাংলার থেকেও খারাপ। তাই গোল করে বেশিক্ষণ আটকে রাখতে পারেনি তারা। মিনিট দু’একের মধ্যেই প্রতি আক্রমণে গতি বাড়িয়ে বাংলাকে অক্সিজেন দিলেন মুখতার। আর একদম শেষ লগ্নে ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট তিনেক আগে বাংলার সম্মান বাঁচান তপন মাইতি। পঞ্জাবের ছোট বক্সের সামনে থেকে একটা অনবদ্য ফ্রি কিকে। তা ছাড়া ম্যাচের মাঝের অংশটা শুধুই অন্ধকার। পুরো দমে চলল বাংলা আর পঞ্জাবের মধ্যে পাল্লা দিয়ে গোল নষ্টের প্রদর্শনী। শেষ ম্যাচ জিতিয়ে বাংলার মুখ রক্ষা করেছেন যিনি, সেই তপন বললেন, “আগে এ রকম অনেক গোল করেছি। আমার গোলে দল জিতেছে ঠিকই, তবে বেশি ভাল লাগছে, মুখটা বাঁচল বলে।”
বাংলার গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে গেল কেরল। মহারাষ্ট্রকে হারিয়ে। গোয়ার সঙ্গে ২-২ ড্র করে, তাদের ছিটকে সেমিফাইনালে চলে গেল মণিপুর।
|
বাংলা: প্রসেনজিৎ, সাগ্রাম, মোহন, সৌমিক, গুরপ্রীত, সন্তোষ, মুখতার, দীপঙ্কর, সুরাবুদ্দিন (তপন), মিঠুন, তন্ময় |