আইপিএল শেষ হলেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছে আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল। চলতি আইপিএলে যে সমস্ত বিতর্ক হয়েছে তা যাতে ভবিষ্যতে ফের না ঘটে, সেটা নিশ্চিত করতেই এমন জরুরি বৈঠকের ভাবনা।
প্রাক্তন বোর্ড কোষাধ্যক্ষ এবং বর্তমানে গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য এমপি পাণ্ডব জানিয়েছেন, আইপিএল ফাইভকে একের পর এক বিতর্ক তাড়া করেছে। যার মধ্যে স্পট-ফিক্সিংয়ের অভিযোগ যেমন উঠেছে, তেমনই তুলকালাম বেঁধেছে এক বিদেশি মহিলার শ্লীলতাহানি নিয়ে। সর্বশেষ সংযোজন, নৈশ পার্টিতে মাদক নেওয়ার অভিযোগে দুই ক্রিকেটারের পুলিশের কাছে আটক হওয়া। “আইপিএল শেষ হলে আমরা বৈঠকে বসছি। এর মধ্যে যা যা হয়েছে, সব কিছু নিয়েই কথাবার্তা হবে সেই বৈঠকে। পূর্ণাঙ্গ আলোচনা বলতে যা বোঝায়,” বলেছেন পাণ্ডব।
|
বিতর্কের দুই মুখ: পোমার্সব্যাচ-রাহুল শর্মা |
গভর্নিং কাউন্সিলের এই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মেনে নিয়েছেন, আইপিএল ফাইভে ক্রিকেট নিয়ে যত না শিরোনাম হয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি হয়েছে মাঠের বাইরের নানা বিতর্কিত ঘটনা নিয়ে। যদিও তাঁর আশা, এর পরেও আইপিএল থাকবে স্বমহিমায়। কারণ এত কিছুর পরেও ম্যাচের দিন লোকে নিয়ম করে টিভির সামনে বসতে ভুলছে না। মাঠেও লোক হচ্ছে প্রচুর।
“আপনারা প্রশ্ন তুলছেন ক্রিকেটারদের নৈশ পার্টিতে যোগ দেওয়া নিয়ে। একটা কথা বলে রাখি, আইপিএল টু থেকেই কিন্তু এ রকম পার্টির আয়োজন আইপিএল কমিটি বন্ধ করে দিয়েছিল। আইপিএল এ সব পার্টি আয়োজন করে না। এমনকী আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজিদেরও নির্দেশ দিয়েছি এ রকম পার্টি হলেও তাতে ক্রিকেটারদের যেন না ডাকা হয়,” বলেছেন পাণ্ডব। তাঁর আরও বক্তব্য, ক্রিকেটারদের নিজেদেরই বোঝা উচিত পার্টিতে না গিয়ে খেলাটায় মন দেওয়া বেশি জরুরি। “ক্রিকেটারদের জন্য কিছু কড়া নির্দেশিকার ব্যবস্থা যাতে হয়, আমরা সেটা দেখব।”
আইপিএলে প্রচুর কালো টাকা ঢুকে পড়ছে এমন অভিযোগও উঠতে শুরু করেছে নানা মহল থেকে। পাণ্ডব অবশ্য সে সব অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন। বলছেন, “এ রকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি। বোর্ড বা আইপিএল কমিটি এ ব্যাপারে কিছুই জানে না। ঘটনা হচ্ছে, একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি একটা টিম কেনে বোর্ড কী ভাবে জানবে ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে কী ভাবে টাকা আসছে? আমাদের তো আর তদন্ত কমিটি বলে কিছু নেই। সরকারের যদি কোনও সন্দেগ থাকে, তারা স্বচ্ছন্দে তদন্ত করে দেখতে পারে।”
|
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ম্যানেজারকে জেরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
কে পি আপান্নার পর এ বার রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর টিম ম্যানেজার অবিনাশ বৈদ্যকেও ডেকে জেরা করল দিল্লি পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, অভিযুক্ত ক্রিকেটার লিউক পোমার্সব্যাচের সমর্থনে তিনি জোহালকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। অবিনাশ অবশ্য ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন। দিল্লি পুলিশ অবশ্য মনে করছে, তাদের কাছে এই দু’জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করার মতো যথেষ্ট নথি রয়েছে। শুধু আপান্না, অবিনাশই নয় দিল্লি পুলিশ আরসিবি দলের কোচকেও ডেকে জেরা করতে পারে। আরও জানা যাচ্ছে, বেশ কয়েকজন ভারতীয় ক্রিকেটারও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। তার উপর সিদ্ধার্থ মাল্যকে টুইটারে জোহালের উদ্দেশ্যে করা আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য দিল্লি মহিলা কমিশন থেকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। জোহাল তাদের কাছে সিদ্ধার্থর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এ দিকে, কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী অজয় মাকেন এ দিন বলেন, “আইপিএলে স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা করা হবে। এ রকম অরাজকতা চলতে দেওয়া যায় না। ভারতীয় ক্রিকেটাররা বিদেশে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করে, তাই সরকারকে উপেক্ষা করে বোর্ড চলতে পারে না।” |