নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
ফুরফুরা শরিফে গিয়ে দিন কয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, ৪ জুন তিনি আরামবাগে এসে নতুন রেলপথের উদ্বোধন করবেন। ফলে, দিনরাত এক করে এখন প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পরিশ্রম করছেন রেলের কর্মীরা। সেই প্রস্তুতিই খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার আরামবাগে ঘুরে গেলেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার জি সি অগ্রবাল। সঙ্গে ছিলেন চিফ ইঞ্জিনিয়ার সুনীলকুমার সর্দার, ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার পল্লব ফৌজদার প্রমুখ। জেনারেল ম্যানেজার বলেন, “অক্টোবর মাস নাগাদ রেল চলাচল শুরুর কথা ছিল। এখন ৪ জুন উদ্বোধনের দিন ঘোষিত হওয়ায় প্রচুর লোক নিয়ে জোরকদমে কাজ তোলার চেষ্টা চলছে।” |
আরামবাগ থেকে গোঘাটের মধ্যে প্রায় ১০ কিলোমিটার এবং গোঘাট থেকে ময়নাপুর পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ এখনও বাকি। আরামবাগের দিক থেকে গোঘাট পর্যন্ত কাজ চললেও গোঘাট থেকে বাঁকুড়ার ময়নাপুর পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ এখনও শুরু হয়নি। পল্লববাবু বলেন, “ওই কাজ যাতে দ্রুত শুরু করা যায়, সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”
তারকেশ্বর থেকে তালপুর রেললাইনে পরীক্ষামূলক ভাবে ট্রেন চলেছে ইতিমধ্যেই। তালপুর থেকে আরামবাগ ২০ কিলোমিটার লাইনের উদ্বোধন হওয়ার কথা আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখানে বিদ্যুদয়নের কাজ এখনও শেষ হয়নি। বিদ্যুদয়ন না হওয়া পর্যন্ত এই লাইনে আপাতত ডিজেল ইঞ্জিন চলবে বলে জানিয়েছেন জেনারেল ম্যানেজার। সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ বিদ্যুদয়নের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পল্লববাবু। তত দিন পর্যন্ত ডিজেল ইঞ্জিন চালিত একটি ট্রেনই হাওড়া পর্যন্ত যাতায়াত করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সুনীলবাবুর কথায়, “যে ভাবে কাজ চলছে, তাতে এক সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত প্রস্তুতি হয়ে যাবে বলে আমাদের আশা।” এ দিকে, রেললাইনের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে উন্মাদনা দেখা দিয়েছে আরামবাগের সাধারণ মানুষের মধ্যে। সকাল-বিকেল স্টেশন চত্বরে ভিড় জমছে। ফুচকা, ঘুগনি, বিড়ি-সিগারেট নিয়ে হকারেরা বসে পড়েছেন স্টেশন চত্বরে। |