নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া |
মাস আটেক আগে নিকাশি খালের উপর ভেঙে পড়ে কংক্রিটের সেতু। উলুবেড়িয়ার বীরশিবপুরসহ আশপাশের অন্তত ৮টি গ্রামের মানুষের ওই পথে যাতায়াত বন্ধ। বন্ধ যান চলাচলও। ৮ মাস ধরে সেচ দফতরে সেতু মেরামতের দাবি জানানো হলে মিলেছে আশ্বাস। দফতরের আধিকারিকদের কথায়, “মেরামতের চিন্তাভাবনা চলছে।”
বীরশিবপুর-নারিকেলতলার কাছে নিকাশি খালের উপর কংক্রিটের প্রায় ৩০ ফুট লম্বা ও ১০ ফুট চওড়া সেতুটি ১৯৮২ সালে সেচ দফতরের তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়েছিল। তারপর থেকে আর সেতুর সংস্কার হয়নি। তৈরির বেশ কিছুদিন পর সেতুতে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়। ধীরে ধীরে সেতুর বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়তে থাকে। সেচ দফতরে বিষয়টি জানিয়ে লাভ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষের। ৮ মাস আগে খালের উপর ভেঙে পড়ে সেতুটি। সংশ্লিষ্ট দফতরে সেতু মেরামতের দাবি জানিয়ে না হওয়ায় অগত্যা পঞ্চায়েতের তরফে এলাকায় একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দেওয়া হয়। আপাতত তা দিয়েই যাতায়াত করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। |
ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়। |
বীরশিবপুরের বাসিন্দা প্রবীর হালদার বলেন, “সেতুটির উপর বীরশিবপুর, মীরপুর, বীরপুর, খড়িয়াময়নাপুর, বলরামপুর, শিবপুর-সহ প্রায় ৮টি গ্রামের লোক নির্ভরশীল। সেটি ভেঙে পড়ায় এখন আমাদের এক কিলোমিটার রাস্তা ঘুরপথে যেতে হচ্ছে। এর ফলে সবচেয়ে সমস্যা হচ্ছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া এবং নিত্যযাত্রীদের। তবে সমস্যা সমাধানের জন্য ভাঙা সেতুটির কাছে পঞ্চায়েতের তরফে একটি বাঁশের সাঁকো বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত সেটিই ব্যবহার করছেন এলাকার মানুষ।”
এ দিকে, ওই সেতু দিয়ে ভ্যান-রিকশা, ছোট গাড়ি, সাইকেল, মোটরবাইক, পণ্য-বোঝাই গাড়ি যাতায়াত করত। সেতু ভেঙে পড়ায় সে সবেরও যাতায়াত বন্ধ। সাঁকো দিয়ে গাড়ি যাতায়ত সম্ভব না হওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। মহেশপুরের অঞ্চল প্রধান গোবিন্দ দত্ত বলেন, “সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় মেরামতের বিষয়টি সেচ দফতরে জানিয়েছিলাম। তারও প্রায় ৮ মাস হয়ে গিয়েছে। এখনও কোনও কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে ভাঙা সেতুর কাছে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে একটি সাঁকো তৈরি হয়েছে।” মেরামতের বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে বলে সেচ দফতর জানিয়েছে। |