নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
গ্রামের শতাব্দী প্রাচীন দুর্গা মন্দিরেই পুজো হয় মা শীতলার। কিন্তু আড়ম্বরে দুর্গা পুজোর থেকে কোনও অংশে কম যায় না দুবরাজপুরের রামপুর গ্রামের শীতলা পুজো।
প্রতি বছর জৈষ্ঠ্য মাসের দ্বিতীয় মঙ্গলবার দিনভর চলে চলে পুজোপাঠ, হোম। সেবাইত থাকলেও এই পুজো বর্তমানে সর্বজনীন। সব চেয়ে বেশি ধুম হয় যখন মন্দির থেকে শীতলার শীলামূর্তি শোভাযাত্রা সহযোগে গোটা গ্রাম ঘোরানো হয়। অন্য দিকে, মন্দির ঘিরে বসে এক দিনের মেলা। ভিড় জমান ওই গ্রাম ও আশপাশের অন্যান্য গ্রামের মানুষজনও। যতক্ষণ না পুজো হচ্ছে গোটা গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দাই উপোস করে থাকেন। |
তবে সবচেয়ে অভিনব এই পুজোকে ঘিরে চাঁদা তোলার পদ্ধতি। যে পরিবারে যতগুলি গরু আছে, সেই পরিবারে গরু প্রতি ১৫ টাকা করে চাঁদা ধার্য করা হয়। সেবাইত পরিবারের দুই সদস্য ফটিক সূত্রধর ও সনাতন সাহাদের কথায়, “এক সময় গ্রামে প্রচুর গরু মারা যেত। গরুগুলি যেন সুস্থ থাকে, গ্রামের শীতলা পুজোয় গরু পিছু দু-আনা করে চাঁদা দেওয়ার কথা স্থির করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আর বহু বছর আগেকার সেই নিয়ম আজও চলে আসছে। পুজোর খরচের ক্রমবর্ধমান হারের কথা ভেবে ধীরে ধীরে চাঁদার পরিমাণ বেড়েছে। তবে এই বিষয়ে গ্রামবাসীদের কোনও আপত্তি নেই।”
ওই গ্রামের বধূ সরস্বতী দে, পূর্ণিমা সাহারা জানালেন, এই সময় প্রত্যেকের বাড়িতে আত্মীয়স্বজন আসেন। খুব আনন্দে কাটে এই সময়টা। পুজোর দিন ও পরের দিন যাত্রাপালা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। |