নিয়োগপত্রে অস্পষ্টতা রয়েছে এই অভিযোগ তুলে বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসকের দফতরের সামনে নিয়োগপত্র পুড়িয়ে দিলেন পার্শ্বশিক্ষকেরা। তাঁদের অভিযোগ, সর্বশিক্ষা অভিযানের আওতাভূক্ত ৩১৬২ জন প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিক স্তরে পার্শ্বশিক্ষকের যে নিয়োগপত্র পেয়েছেন তাতে তাঁদের নাম থাকলেও, ঠিকানা নেই। নিয়োগপত্রগুলি পাঠানো হয়েছে কোথাও সাধারণ ডাকে, কোথাও বা কুরিয়ারে। ফলে অনেকেই তা পাননি। তাঁদের আরও অভিযোগ, নিয়োগপত্রে প্রকল্প আধিকারিকের যে সাক্ষর ও রাবার স্ট্যাম্প রয়েছে, তাও প্রতিলিপি করানো। ফলে এই নিয়োগপত্রের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নিখিলবঙ্গ পার্শ্বশিক্ষক সমিতির রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা মধুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘টানা আট বছর ধরে সর্বশিক্ষা প্রকল্পের আওতায় কাজ করছি। এত দিন আমরা নিয়োগপত্র পাইনি। দীর্ঘ দিন পরে যে নিয়োগপত্র পাঠানো হয়েছে, তাতেও অস্বচ্ছতা থাকায় আমরা তা পুড়িয়ে আন্দোলনে নামলাম।” সর্বশিক্ষা প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি অধিগ্রহণ) শ্যামল মণ্ডল বলেন, “কেন এমন ঘটনা ঘটেছে তার তদন্ত হবে। এটি যে একটি পদ্ধতিগত ভুল তাতে কোনও সন্দেহ নেই।”
|
সিপিএম নেতা প্রদীপ তা ও কমল গায়েন খুনে অভিযুক্ত ১১ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর জামিন ফের নাকচ করল বর্ধমান আদালত। মঙ্গলবার বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি (গ্রামীণ) তথা পূর্বস্থলী (দক্ষিণ)-এর বিধায়ক স্বপন দেবনাথ ১২ জন আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে জামিনের পক্ষে সওয়াল করেন। তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক অলোক দাসও আদালত চত্বরে ছিলেন। কিন্তু জেলা জজ প্রভাতকুমার অধিকারী নাকচ করে মামলার দ্রুত শুনানি শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তার জন্য সিজেএম-কে মামলাটি তাঁর এজলাসে পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। গত ২২ ফেব্রুয়ারি বর্ধমান শহরের কাছেই দেওয়ানদিঘিতে দুই সিপিএম নেতাকে পিটিয়ে মারা হয়। অভিযুক্ত ২২ জনের মধ্যে ৩ জনকে চার্জশিটে অব্যাহতি দিয়েছে সিআইডি। ধৃত ১১ জনের মধ্যে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা পতিতপাবন তা, ছোটন চক্রবর্তীও রয়েছেন। আদালতে হাজির না হলে ফেরার ৮ জনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
|
প্রৌঢ়া খুনে ধৃতকে মঙ্গলবার তিন দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল কাটোয়া আদালত। যদিও ধৃত অশোক দাসকে ৫ দিন হেফাজতে চেয়েছিল পুলিশ। গত ১৬ মার্চ কাটোয়ার কাছারি পাড়ায় খুন হন গৃহকর্ত্রী বিজলি দাস (৫৩)। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজলীদেবীকে খুন করার অভিযোগে তাঁর দেওর অশোক দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরের দিন, শুক্রবারই তাঁকে আদালতে তোলার কথা ছিল। কিন্তু তিনি অসুস্থ হয়ে পরায় তাঁকে প্রথমে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। |