দলের প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় পোস্টার ছেঁড়া ও পাল্টা মারের ঘটনায় প্রকাশ্যে এল দুর্গাপুরে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব। মঙ্গলবার দুর্গাপুর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ওই ঘটনায় রাজ্যের প্রধান শাসকদল অস্বস্তিতে। যদিও নেতারা প্রকাশ্যে তা স্বীকার করছেন না। আহত তৃণমূল সমর্থক পরিমল পালকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
|
হাসপাতালে জখম। নিজস্ব চিত্র। |
স্থানীয় সূত্রের খবর, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী নিমাই গড়াইয়ের মনোনয়ন নিয়ে দলের নিচুতলায় একাংশের ক্ষোভ রয়েছে। ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় তাঁর সমর্থন বেশ কিছু পোস্টার লাগানো হয়েছিল। এ দিন সকালে দেখা যায়, বেনাচিতির একটি বন্ধ সিনেমা হলের পাশে লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই ভিড় জমে যায়। ঘটনাস্থলে আসেন নিমাইবাবুও। ওই সময়েই ঘটনার জন্য পরিমলবাবুকে দায়ী করে হঠাৎ কয়েক জন তাঁর উপরে চড়াও হন। নাকে ও কানে ঘুষি মারা হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁর কানে ব্যান্ডেজ করতে হয়। তৃণমূল সূত্রের খবর, পরিমলবাবু আগে কংগ্রেসে ছিলেন। পরে তৃণমূলে যোগ দেন। দলের নেতারা নিমাইবাবুকে প্রার্থী করলেও যাঁরা তা মানতে পারেননি, তিনি সেই দলেই পড়েন বলে একাংশের দাবি। নিমাইবাবু ও তাঁর অনুগামীরা সে কথা জানতেন। পরিমলবাবুর অভিযোগ, “আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওরা আমার উপরে চড়াও হয়। আমি মাটিতে পড়ে যাই। তার পরেও মারধর চলে। কেন এমন করা হল তা বুঝতে পারছি না।” প্রার্থীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কি না, সে প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে তিনি বলেন, “দল যাকে প্রার্থী করেছে, তাকে মেনে নিতেই হবে।”
প্রার্থী ও তাঁর অনুগামীরা অবশ্য মারধরে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নিমাইবাবুর দাবি, “উনি আমাদের দলের সঙ্গে আদৌ যুক্ত নন। পোস্টার ছেঁড়ার সময়ে স্থানীয় লোকজনই তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। তাঁরাই উত্তেজিত হয়ে গায়ে হাত তোলেন। আমি গিয়ে ছাড়িয়ে দিই।” প্রার্থিপদ নিয়ে কোনও অসন্তোষের কথা মানতে চাননি দলের জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি তথা দলের সাম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী অপূর্ব মুখোপাধ্যায়ও। তাঁর দাবি, “সব ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রার্থিতালিকা তৈরি করা হয়েছে। কোথাও কোনও সমস্যা নেই।” |