স্পট ফিক্সিং। শ্লীলতাহানি। শাহরুখ-বিতর্ক। আইপিএলের অস্বস্তির যেন কোনও শেষই নেই। আর এ সবের মধ্যে নতুন সংযোজন মাদকদ্রব্য নেওয়ার অভিযোগে সহারা পুণে ওয়ারিয়র্স ক্রিকেটার রাহুল শর্মার নাম জড়িয়ে যাওয়া।
আজ রাত সাড়ে আটটা নাগাদ মুম্বইয়ের জুহুর একটি হোটেলের এক পার্টি থেকে পুলিশ প্রায় একশো জনকে নিষিদ্ধ মাদক নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের দাবি, কোকেন-চরসের মতো মাদকদ্রব্যও উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণে। পাওয়া গিয়েছে একশো দশ গ্রাম কোকেন এক্সট্যাসির মতো মাদকও। এই ঘটনায় রাহুল শর্মা ছাড়াও পুণে ওয়ারিয়র্সের আরও এক ক্রিকেটারের নাম কানাঘুষোয় উঠে এসেছে। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার ওয়েন পার্নেল। প্রসঙ্গত, মাত্র কয়েক দিন আগে স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িয়েছিল পুণেরই ক্রিকেটার মণীশ মিশ্রের নাম।
আজ মাদক নেওয়ার অভিযোগে ধৃতদের মধ্যে দু’জন ক্রিকেটার যে রয়েছেন, তা স্বীকার করেছে পুলিশও। তবে তারা নির্দিষ্ট কোনও নাম এখনও জানায়নি। মুম্বই পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বিশ্ব নাগরে পাটিল বলেছেন, “ধৃতদের মধ্যে দু’জন আইপিএল ক্রিকেটারও আছেন। কিন্তু যত ক্ষণ না ডাক্তারি পরীক্ষায় ধরা পড়ছে যে ওঁরা নেশা করেছেন, তত ক্ষণ ওঁদের অপরাধী বলা যাচ্ছে না।” |
ধৃতদের কয়েক জন। ছবি: পি টি আই |
পুলিশ রাখঢাক করলেও রাহুলের নাম বেরিয়ে আসতে বেশি সময় লাগেনি। দ্রুতই কয়েকটি সূত্রে বলাবলি হতে থাকে যে, রাহুল এবং পার্নেল দু’জনেই আজ ওই হোটেলটির ‘সানডে সানডাউন পার্টি’তে হাজির ছিলেন। ঘটনার পর রাহুলের সঙ্গে যোগাযোগ করতেও শুরু করে দেয় সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। গভীর রাতে একটি টিভি চ্যানেলকে রাহুল স্পষ্ট বলেন যে, তিনি ওই হোটেলে ছিলেন ঠিকই। কিন্তু কোনও অন্যায় তিনি করেননি। পরে এই ঘটনার সঙ্গে আবার জড়িয়ে যায় বলিউডও। শোনা যাচ্ছে, অভিনেত্রী রিয়া সেনের প্রেমিক বিশাল হান্ডাকেও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আটক করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে বিদেশির সংখ্যা বেশি। তার মধ্যে আবার ৩৮ জন মহিলাও আছেন। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সকলকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
যা পরিস্থিতি, তাতে শেষ পর্যন্ত যদি এই দুই ক্রিকেটার সত্যিই দোষী প্রমাণিত হন, তা হলে আইপিএলের ভাবমূর্তি যে আরও খারাপ হবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আইপিএল বন্ধের দাবিতে অনশনে বসেছেন যিনি, সেই প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ রাতে একটি চ্যানেলকে বলেন, “আমি বুঝতে পারছি না, কী চলছে আইপিএলে? সব চেয়ে অবাক লাগছে বিদেশি ক্রিকেটারদের মনোভাব দেখে। ওঁরা যতই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলুন, আসলে তো নিজেদের দেশেরই প্রতিনিধিত্ব করছেন। তা সত্ত্বেও এমন ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।” |