নিখোঁজ ছাত্রীর হদিস, ধৃত দুই |
টিউশনে গিয়ে নিখোঁজ চন্দ্রকোনা থানার ঝাঁকরার নবম শ্রেণির ছাত্রীর সন্ধান পেল পুলিশ। গত ৯ মে বিকেলে ওই ছাত্রী টিউশনে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরোয়। আর ফেরেনি। থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন বাড়ির লোক। ১০ মে প্রতিবেশী মহিলা ছন্দা চন্দ্রের নামে থানায় মামলা করা হয়। শুরু হয় তদন্ত। পুলিশ গত শুক্রবার রাতে চন্দ্রকোনা থানারই পলাশা গ্রামের বাসিন্দা অভিজি শী নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। জানা যায়, ৯ মে অভিজিৎ-ই মোটরবাইকে চাপিয়ে ওই ছাত্রীকে নিয়ে গিয়ে কেশপুরের বাসে তুলে দিয়ে আসে। সেখানে পলাশা গ্রামের যুবক জগন্নাথ শী অপেক্ষা করছিল। পুলিশের জেরায় অভিজিৎ জানিয়েছেন, ছন্দা চন্দ্রের মাধ্যমেই পলাশা গ্রামেরই ওই যুবক মেয়েটিকে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে গিয়েছে। শনিবার সকালে পুলিশ ছন্দাকেও গ্রেফতার করে। শনিবার ধৃতদের ঘাটাল আদালতে তোলা হলে বিচারক অভিজিৎকে ৯ দিন পুলিশি হেফাজত এবং ছন্দাকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। রবিবার সকালে আভিজিৎকে নিয়ে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশের একটি দল ওই ছাত্রী ও জগন্নাথের সন্ধানে উত্তরপ্রদেশ রওনা দিয়েছে। নচন্দ্রকোনা থানার ওসি শীর্ষেন্দু দাস বলেন, “জগন্নাথ সোনার কাজ করে। উত্তরপ্রদেশেই থাকে। ওখানকার পুলিশকেও সব জানানো হয়েছে।”
|
ধর্ষণ, খড়্গপুরে ধৃত তৃণমূলের দুই |
নার্সারির মধ্যে ঢুকে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল খড়্গপুরে। খড়্গপুর লোকাল থানার কাজলার এই ঘটনায় শনিবার রাতেই আক্রান্ত মহিলা পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানান। তার ভিত্তিতে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা তৃণমূল সমর্থক বলে পরিচিত। তৃণমূল অবশ্য ঘটনার সঙ্গে দলীয় যোগ অস্বীকার করেছে। ওই মহিলা কাজলার নার্সারিতেই কাজ করেন। তাঁর বাড়ি তেতুলমণিতে। নার্সারির পাশেই এক কারখানা তৈরি হচ্ছে। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে কারখানার কয়েকজন কর্মী নার্সারিতে ঢুকে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে। বাধা দিতে গেলে তাঁর স্বামীকেও মারধর করা হয়। তিনি আহত হন। শনিবার রাতে ওই মহিলা খড়্গপুর লোকাল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ ইমাম হোসেন ও মিয়াজ বেজ নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের বাড়ি ভাটাচকে। অভিযুক্তরা তৃণমূল সমর্থক বলে জানা গিয়েছে। জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অজিত মাইতি অবশ্য বলেন, “ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।” পুলিশ জানিয়েছে, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
|
দলবদল করে সিপিএম ও সিপিআই-এর দুই নেতা যোগ দিলেন তৃণমূলে। তৃণমূলের মোহনপুর ব্লক সভাপতি প্রদীপ পাত্র জানান, রাজ্য সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রবিবার মোহনপুর বাসস্ট্যাণ্ডে সভা করেছিল তৃণমূল। রবিবারের সেই সভাতেই মোহনপুর পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ সিপিএমের শিবশঙ্কর শীট এবং সিপিআই নেতা ও বিধায়ক প্রতিনিধি শ্রীপতি সেন তৃণমূলে যোগ দেন। যদিও সিপিএমের মোহনপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক রমণীমোহন জানা ও দাঁতনের সিপিআই বিধায়ক অরুণ মহাপাত্রের দাবি, ভয় দেখিয়ে ও চাপ সৃষ্টি করে ওই দুই নেতাকে তাদের দলে যোগ দিতে বাধ্য করেছে তৃণমূল। |