আইপিএল বাতিলের দাবিতে আজ দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামের সামনে অনশন শুরু করলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বিজেপি সাংসদ কীর্তি আজাদ।
স্পট ফিক্সিং, নৈশ পার্টি নিয়ে বিতর্ক, ওয়াংখেড়ের ঘটনা, শ্লীলতাহানি একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছে পঞ্চম আইপিএল। এই পরিস্থিতিতে সার্বিক ভাবে ক্রিকেটের ভাবমূর্তি উদ্ধারে আইপিএল বন্ধের ডাক দিলেন কীর্তি আজাদ। এ দিন অনশন মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, “ক্রিকেটে স্বচ্ছতা বলে এখন কিছু নেই। গোটা ক্রীড়া জগতে রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। তার থেকেও খারাপ বিষয় হল, যখন দেখি নতুন ক্রিকেটারেরা দেশের হয়ে খেলার চেয়ে আইপিএল খেলার জন্য বেশি আগ্রহী।”
কত দিন অনশন করবেন, তা নিয়ে আজ স্পষ্ট কিছু বলেননি আজাদ। তবে বিজেপির দুই শীর্ষ নেতা সুষমা স্বরাজ ও অরুণ জেটলির মধ্যেকার সংঘাতের কারণেই সুষমা-ঘনিষ্ঠ আজাদ অনশনে বসেছেন বলে মত একাংশের। জেটলি বর্তমানে দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত। ফলে বিজেপির একাংশ মনে করছেন, তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলতেই আজাদের এই অনশন। আজাদের বক্তব্য, “টুর্নামেন্টকে আকর্ষণীয় করতে গিয়ে মাঠে চিয়ার গার্ল নাচছে। ম্যাচের পর পার্টি। এ সবেই ক্রিকেটারদের মাথা ঘুরে যাচ্ছে। আইপিএলে প্রচুর কালো টাকা লেনদেন হয়। জুয়াড়িদের আড্ডা। ভারতের বোর্ড চুপ করে আছে।”
এ দিকে অবশ্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ও আইপিএল সংক্রান্ত সমস্ত লেনদেন খতিয়ে দেখার জন্য একটি বিশেষ অডিট দল গঠন করা
হয়েছে। আয়কর দফতর আজ জানিয়েছে, ওই দলটি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (২০১০ থেকে ২০১২)-সহ গত পাঁচটি আইপিএলের ক্ষেত্রে যে আয়কর ছাড় দেওয়া হয়েছিল তা খতিয়ে দেখবে।
এর আগে আয়কর দফতর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে কর বাবদ ৪১৩ কোটি টাকা দাবি করেছিল। যার মধ্যে বোর্ড মাত্র ৪১ কোটি টাকা আয়কর দফতরকে মিটিয়েছে। বাকি টাকা না দেওয়ার যুক্তি হিসাবে ক্রিকেট বোর্ড নিজেদের একটি দাতব্য সংস্থা হিসাবে দাবি করে। সেই বিতর্ক মেটাতেই ওই বিশেষ দল গঠন করেছে আয়কর দফতর। |