টুকরো খবর
দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়ে খুন আমলা
কর্তব্য করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন আরও এক সৎ আমলা। পাঁচ দিন আগে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের হামলায় আহত হয়েছিলেন কর্নাটকের সমবায় দফতরে অডিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত আমলা এস পি মহন্তেশ। আজ মারা গিয়েছেন তিনি। বেশ কয়েকটি জমি বন্টনের ক্ষেত্রে অনিয়ম নিয়ে মহন্তেশ সরব হয়েছিলেন বলে সরকারি সূত্রে জানা খবর।
এস পি মহন্তেশ
ওই জমি বন্টনের সঙ্গে রাজ্যের বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতাও জড়িত বলে অভিযোগ।মহারাষ্ট্র, ছত্তীসগঢ়-সহ বিভিন্ন রাজ্যে কর্তব্য করতে প্রাণ হারিয়েছেন বহু আমলা। দুর্নীতি নিয়ে যাঁরা সরব হন, তাঁদের সুরক্ষার জন্য একটি আইন করার কথাও ভেবেছে কেন্দ্র। কিন্তু, সেই আইন নিয়ে কাজ বিশেষ এগোয়নি। ১৫ মে নিজের গাড়িতে বাড়ি ফেরার সময়ে মহন্তেশ আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। তাঁকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান কিছু পথচারী। তাঁরাই মহন্তেশের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। আজ ভোর সাড়ে পাঁচটায় মহন্তেশের হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন এক চিকিৎসক। এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী সদানন্দ গৌড়া বলেছেন, শীঘ্রই অপরাধীরা ধরা পড়বে। পুলিশ কিছু সূত্র পেয়েছে বলে দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর অশোকের। ঘটনার তদন্তের জন্য চারটি বিশেষ দল তৈরি করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণমূর্তির মতো বেঙ্গালুরুর বিশিষ্ট নাগরিকরাও।

অজিতের বৈঠকে ব্রাত্য আইপিজি-ই
অচলাবস্থা কাটাতে আগামী কাল এয়ার ইন্ডিয়ার ১৩টি বৈধ ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন বিমানমন্ত্রী অজিত সিংহ। তাঁর কথায়, “সংস্থার সমস্ত বিষয়ে ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।” কিন্তু বৈঠকে ডাকা হয়নি ধর্মঘটী পাইলটদের ইউনিয়ন ইন্ডিয়ান পাইলট্স গিল্ড (আইপিজি)-কে। কারণ ইতিমধ্যেই আইপিজি-র বৈধতা কেড়ে নিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। এর মধ্যেই এয়ার ইন্ডিয়ার অচলাবস্থা আজ তেরো দিনে পড়ল। গত কালই অজিত সিংহ ধর্মঘটী পাইলটদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, তাঁদের সমস্ত দাবি বিবেচনা করে দেখা হবে। সেই সঙ্গে তিনি আশ্বস্ত করেছিলেন, পাইলটদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। কিন্তু ধর্মঘটীদের দাবি, আগে ৭১ জনের বিরুদ্ধে জারি হওয়া ‘সাসপেনশন অর্ডার’ তুলে নিতে হবে। ফলে অচলাবস্থা কাটার কোনও রকম ইঙ্গিত এখনও পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় সকলের নজর এখন আগামী কালের বৈঠকের দিকে। এই টানাপোড়েনের মধ্যে যাত্রী ভোগান্তিও অব্যাহত।

যোরহাটে শতবর্ষে পা দিল বেঙ্গলি ক্লাব
স্মৃতির খোয়া যাওয়া পাতার সন্ধানে, যোরহাটের ঐতিহ্যবাহী লক্ষ্মী ইউনিয়ন বেঙ্গলি ক্লাব তাদের শতবর্ষ উদ্যাপন শুরু করল। উজানি অসমে বাঙালির অন্যতম প্রাচীন মিলনস্থল এই ক্লাব। ১৯১২ সালে নাটক ও গ্রন্থাগারের মাধ্যমে এই ক্লাবের পত্তন। তবে, ১৯৭৬ সালের বন্যায়, ক্লাবের সূচনা থেকে বহু বছরের সযত্নরক্ষিত সমস্ত নথি বিনষ্ট হয়ে যায়। বর্তমান সভাপতি মৃদুল হাজরা বলেন, “বাঙালিদের নিয়ে এত বছরের সাংস্কৃতিক মঞ্চ চালিয়ে যাওয়াটাই গর্বের ব্যাপার। কিন্তু আফশোস, এই সংগঠনকে যাঁরা তৈরি করেছিলেন সেই ব্যক্তি ও তৎকালীন সময়ের ইতিহাস আমরা হারিয়ে ফেলেছি। ক্লাবের বহু পুরনো সদস্য কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছেন। শতবর্ষ উদ্যাপনে, তাঁদের সকলকে একজোট করতে চাই আমরা। ক্লাবের পুরোনো দিনের ইতিহাস বা নথি কারও কাছে থাকলে ০৮৮৭৬৮৪৫৪৮৯, ০৯৪৩৫০৫২১১২ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।” এখন লক্ষ্মী ইউনিয়ন ক্লাবের সদস্য সংখ্যা ১২০। বাংলা ভাষা ভিত্তি করে যোরহাটে নাগাড়ে সাংস্কৃতিক আবহ বজায় রেখেছেন মৃদুলবাবুরা। ১৯৭৪ সালে এই ক্লাবে বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন হয়েছিল। এসেছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শঙ্কু মহারাজ। এ ছাড়া, নানা সময়ে, উৎপল দত্ত, শম্ভু মিত্র, উদয়শঙ্করদের অনুষ্ঠান হয়েছে লক্ষ্মী ইউনিয়নে। গত কাল পতাকা উত্তোলন করে শতবর্ষ উদ্যাপনের সূচনা হয়। এরপর দিনভর চলে শোভাযাত্রা, আলোচনাচক্র, সাস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আতসবাজি প্রদর্শনী। সারা বছর ধরে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শতবর্ষ স্মরণীয় করে তুলতে চান মৃদুলবাবুরা।

ফের উত্তেজনা লংপিতে
ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে অসম-মেঘালয় সীমানার লংপি এলাকা। গত কাল বিতর্কিত লংপি এলাকায় মেঘালয়ের হিমা রেইড মিনসাও গ্রামের দরবার হল ভেঙে দেয় অসম পুলিশ। তা নিয়েই বিবাদ শুরু। কাল প্রায় তিরিশটি গাড়ি নিয়ে লংপি হাজির হন অসমের পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তারা। কামরূপ প্রশাসনের দাবি, লংপি এলাকায় নতুন নির্মাণের ক্ষেত্রে ২০১০ সাল থেকে স্থগিতাদেশ জারি হওয়া সত্ত্বেও, সেখানে দরবার বা পঞ্চায়েত হল তৈরি করা হচ্ছিল। কামরূপ প্রশাসনের আবেদন মেনে আদালত হলটি ভেঙে ফেলার নর্দেশ দেয়। পশ্চিম খাসি পাহাড় ও কামরূপ (গ্রামীণ)-এর জেলাশাসক মিলিতভাবে হল ভাঙার নির্দেশ সই করেন। সেই নির্দেশ দেখিয়েই, ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ নবনির্মিত দরবার হল ভেঙে ফেলে। কিন্তু, পশ্চিম খাসি পাহাড়ের জেলাশাসক এস খারলিংডো দাবি করেন, তিনি এমন কোনও নির্দেশের কথা জানেন না। এমন নির্দেশনামায় তিনি সইও করেননি। খারলিংডোর প্রশ্ন, লংপিতে পুরোনো দরবার হল ভেঙে নতুন দরবার হল গড়া বেআইনি হলে, অসম সরকার কী ভাবে লংপিতে নতুন স্কুল, পরিদর্শন বাংলো, বাজার ও উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গড়ে? কামরূপ (গ্রামীণ)-এর জেলাশাসক এস কে রায় জানান, প্রশাসন আদালতের নির্দেশ মেনেই যা করার করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে, অসমের দিকের এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। ২০১০ সালের ১৪ মে, এলাকা দখল নিয়ে সংঘর্ষের জেরে লংপিতে চারজনের মৃত্যু হয়। জখম হন ১২ জন। ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত চলছে। গত কালের উত্তেজনার পর আজ অসম-মেঘালয় সীমানায় নতুন করে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

অপহরণ ঘিরে উত্তপ্ত রাভা ও গারো সম্পর্ক
অপহরণের পরে এক সপ্তাহ কেটে গেলেও, দুই রাভা নেতাকে গারো জঙ্গিদের কবল থেকে মুক্ত করতে না পারায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে গোয়ালপাড়া প্রশাসন। পুলিশের আশঙ্কা, পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে জঙ্গিরা দুই অপহৃতকে মুক্তি না দিলে ফের জনজাতি সংঘর্ষ বাধতে পারে। গত রবিবার কৃষ্ণাই থানার দাওয়াগুড়ি গ্রাম থেকে বেলপাড়া নিম্ন প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক কামেশ্বর রাভা ও অল রাভা ছাত্র সংস্থার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, চরিত রাভাকে অপহরণ করা হয়। ঘটনার পিছনে গারো জঙ্গি সংগঠন জিএনএলএ-র হাত রয়েছে বলে সন্দেহ। তদন্তকারীরা তিন গারো জঙ্গি ও লিংকম্যানকে আটক করলেও অপহরণকারীদের ব্যাপারে কোনও সূত্র পায়নি। এ দিকে, অসমের গোয়ালপাড়া ও মেঘালয়ের পূর্ব গারো হিল জেলার মেন্দিপথারে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে। আজ পূর্ব গারো হিল ও গোয়ালপাড়া---দুই জেলার বিভিন্ন স্থানে শান্তি বৈঠকের আয়োজন করে প্রশাসন। পূর্ব গারো হিলের জেলাশাসক বিজয় মন্ত্রী জানান, পরিস্থিতি যাতে কোনওভাবেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতেই ব্যস্ত প্রশাসন। গত বছর রাভা-গারো সংঘর্ষে বহু নিরীহ মানুষের প্রাণ গিয়েছিল। এ বারেও, অপহরণকাণ্ডের পরেই রাভা ছাত্র সংগঠন বেশ কিছু এলাকায় প্রতিবাদ সভা করেছে। বিজয় মন্ত্রী ও গোয়ালপাড়ার জেলাশাসক প্রীতম শইকিয়া, সীমানার এপারে-ওপারে ঘুরে স্থানীয় মানুষদের শান্ত থাকার আবেদন জানান। গারো ন্যাশনাল কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক টেংসিল সাংমা দু’পারের পুলিশ-প্রশাসনের কাছেই গারোদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আবেদন জানিয়েছেন। জনগণকে শান্ত থাকতেও বলেছেন তিনি।

অসমে টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগপত্র
‘টেট’ উত্তীর্ণদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার সূচনা করলেন অসমের
মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। রবিবার গুয়াহাটিতে। উজ্জ্বল দেবের তোলা ছবি।
শিক্ষক পদে যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২৬ হাজার ১০০ জনের হাতে আজ নিয়োগপত্র তুলে দিল অসম সরকার। গুয়াহাটির সরুসজাই স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ আনুষ্ঠানিক ভাবে এই নিয়োগপত্র বিতরণের সূচনা করেন। নব-নিযুক্তদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, অসমে শিক্ষার গুণগত মান আরও বাড়াতে হবে। শিক্ষকরা পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির সঙ্গে এই বিষয়ে গুরুত্ব দেবেন বলে তিনি আশা করেন। শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ঘোষণা করেন, আরও ২৯ হাজার যুবক-যুবতীকে সেপ্টেম্বরে শিক্ষক পদে নিযুক্ত করা হবে। আজ যাঁরা নিযুক্তি পেয়েছেন, তাঁদের ১৮ হাজার ২৯৭ জনই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বাকিরা মধ্য ইংরেজি স্কুলের। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ২ হাজার ১২০ জন বিজ্ঞান শিক্ষকও।অসমে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য এখন যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা (টেট) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রথম টেট পরীক্ষা হয় এ বছরের ১১ জানুয়ারি।

ভিত নড়ছে ইউপিএ-র, বলছে সমীক্ষা
একটানা আট বছর ক্ষমতায় থাকার পরে সম্ভবত প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়ায় নড়ছে ইউপিএ সরকারের ভিত। এবিপি নিউজ-এসি নিয়েলসেনের একটি সমীক্ষায় অন্তত তেমনই ছবি উঠে এসেছে। সেই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, শুধু যে সরকারের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে, তা-ই নয়, প্রধানমন্ত্রীর পদে পছন্দের প্রার্থী হিসেবে মনমোহন সিংহকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। ইউপিএ সরকারের কাজের গতি যে গত এক বছরে শ্লথ হয়ে পড়েছে, সেটা দেশের শিল্পমহল থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মহল, সকলেই বারবার বলেছে। তার সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি, দুর্নীতি ইত্যাদি ইস্যুতে জেরবার সরকার। এরই যে প্রভাব পড়েছে মানুষের মনে, সেটাই জনমত সমীক্ষায় উঠে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এখনই যদি লোকসভা ভোট হয় তবে বিজেপি পারে ২৮ শতাংশ ভোট। সেখানে কংগ্রেসের পক্ষে মত দিয়েছেন ২০ শতাংশ মানুষ। নরেন্দ্র মোদী প্রথম বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে মনমোহন সিংহ এবং রাহুল গাঁধীকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন। দেশের ২৮টি শহরে এই সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, কংগ্রেসের থেকে বিজেপির পাশেই এখন বেশি মানুষ দাঁড়িয়েছেন। এমনকী, গত বারে যাঁরা কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁদেরও সকলে এ বার পুরনো দলের পক্ষে দাঁড়াতে রাজি নন। তাঁদের মাত্র ৬৯% এ বার কংগ্রেসকে ভোট দিতে রাজি।

আইন না মেনে আটক নয়, বলল আদালত
আইনি প্রক্রিয়া না মেনে কাউকে বন্দি করতে পারে না সরকার। কারণ, তা ব্যক্তির মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের সামিল। একটি মামলায় এই মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আটক করার নতুন নিয়মও তৈরি করেছে বিচারপতি বি এস চহ্বাণ ও বিচারপতি দীপক মিশ্রের বেঞ্চ। মণিপুরের হুইদরোম শান্তিকুমার খুনের মামলায় জেলে বন্দি। তাঁর বিরুদ্ধে জঙ্গি সংগঠন কাংলেইপাকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ও তোলাবাজির অভিযোগও রয়েছে। ২০১১-এর ৩০ জুন ইম্ফলের ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, এমন মামলায় অনেক অভিযুক্ত জামিন পেয়েছেন। পরে তাঁরা ফের জনস্বার্থ বিরোধী কাজে জড়িয়ে পড়েছেন। তাই শান্তিকুমারকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আটক রাখার নির্দেশ দেন তিনি। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে গুয়াহাটি হাইকোর্টে যান শান্তিকুমারের বাবা। আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। মামলা আসে সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি চহ্বাণ ও বিচারপতি মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়েছে, জেলে বন্দি কাউকে ফের আটক করতে চাইলে আগে প্রমাণ করতে হবে যে, তাঁর জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

হোটেলে যুবক আত্মঘাতী
এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছে বিহারে। নালন্দা জেলায় রামচন্দ্রপুরে একটি হোটেলে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, যুবকটির নাম প্রেম আনন্দ, বয়স ২৪। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, বিষ খেয়ে ওই যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন। কাল রাতে গোঙানির শব্দ পেয়ে ওই যুবককে তাঁর ঘর থেকে বার করা হয়। তখন তাঁর মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছিল। তাঁকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। কেন তিনি আত্মঘাতী হলেন জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বাসে আগুন, জখম ১২ যাত্রী
বাসে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এলপিজি সিলিন্ডার। কোনও ভাবে তাতে ঘটে বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণে আগুন লেগে যায় বাসে। এ ঘটনায় ১২ জন যাত্রী জখম হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের পলামু জেলার পদমায় কাল রাতে ঘটে এই কাণ্ড। জেলার পুলিশ সুপার মাইকেল এস রাজ আজ জানান, এত জোরে বিস্ফোরণ ঘটে যে যাত্রিবাহী বাসটির পিছনের অংশ পুরোটাই উড়ে যায়। জখম ১২ জন যাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আজ তাদের স্থানান্তরিত করা হয়েছে রাঁচির রিমসে।

অভিযোগ নারায়ণমূর্তিরও
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর উপর তাঁর গভীর আস্থা। কিন্তু একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, বার বার আর্জি জানানো সত্ত্বেও ‘সফটওয়্যার রফতানি’-র সংজ্ঞা ঠিক কী, তা কিছুতেই স্পষ্ট করছে না কেন্দ্র। যা সমস্যায় ফেলছে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পকেই। বিভিন্ন নীতি গ্রহণে কেন্দ্রের ‘পক্ষাঘাতগ্রস্ত’ হওয়ার অভিযোগ নিয়ে রবিবার এক বিতর্কসভায় এই কথাই বললেন ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান মেন্টর এন আর নারায়ণমূর্তি। তিনি বলেন, “অর্থমন্ত্রী ও মানুষ হিসেবে অসাধারণ প্রণব মুখোপাধ্যায়। আশা করছি শিল্পের স্বার্থে তিনি ‘সফটওয়্যার রফতানি’র সংজ্ঞার বিষয়ে দ্রুত এগোবেন।” গত বছর আয়কর দফতর ইনফোসিসকে ৪৫০ কোটি টাকার বেশি জরিমানা করে। তাদের অভিযোগ, কর ছাড় পেতে ‘অনশোর সার্ভিস’ (সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের স্বল্পমেয়াদি প্রকল্প নিয়ে বিদেশে পাঠানোর নীতি) হিসেবে সংস্থাটি যা দেখিয়েছে, তা আসলে ‘সফটওয়্যার রফতানি’। তার পরেই এর সংজ্ঞা জানতে চাওয়া হয়।

‘বেটি বি’ আরাধ্যা
ছ’মাসের অপেক্ষার অবসান। নাতনির নাম জানাতে শেষ পর্যন্ত টুইটারকেই বেছে নিলেন অমিতাভ বচ্চন। জানালেন, অভিষেক-ঐশ্বর্যার কন্যার নাম আরাধ্যা। এত দিন ‘বেটি বি’ বলেই পরিচিত ছিল সে। কয়েক দিন আগেই জানা যায়, বচ্চন-পরিবারের কনিষ্ঠতম সদস্যার নাম আরাধ্যা। অমিতাভ সেটাই জানালেন।

লেখকের উপরে জারি হবে নিষেধাজ্ঞা
সুইডেনের লেখক জ্যান মিরডালের ভারতে আসার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র। সরকারের সন্দেহ, জ্যান মাওবাদীদের সমর্থক। সুইডেনের নোবেল জয়ী রাজনীতিক দম্পতি গুন্নার ও আলভা মিরডালের ছেলে জ্যান। বরাবরই বামপন্থী বলে পরিচিত তিনি। গুন্নার ও আলভার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পরিচয় ছিল ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও ইন্দিরা গাঁধীর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি, কলকাতা, হায়দরাবাদ, লুধিয়ানা, দিল্লিতে মাওবাদী সমর্থকদের সভায় যোগ দেন জ্যান।

শাস্তিমূলক ব্যবস্থা
আসাম ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের (আউটা) সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত সরকারকে চাকরি থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি সমীর বেহরার শাস্তির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও তাঁকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, তদন্ত কমিটি তাঁর বিরুদ্ধে বড় রকমের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারই সুপারিশ করেছে। সুদীপ্তবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ অবাধ্যতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপ এবং কতিপয় প্রবীণ শিক্ষককে ভীতি প্রদর্শনের। বিষয়টি নিয়ে আজ ‘আউটা’র জরুরি কার্যনির্বাহী সভা বসে। সেখানে এমন শাস্তিমুলক ব্যবস্থাগ্রহণের নিন্দা করা হয়। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন জানাতে সংগঠন আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.