স্কুলগুলিকে এবার ‘সাবধান’ হতে হবে, অন্তত মিড-ডে মিল নিয়ে। কারণ নীতীশ কুমার ‘নজর’ রাখছেন।
স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের মধ্যে ঠিক মতো মিড-ডে মিল পরিবেশন করা হচ্ছে কী না তার নজরদারি চালাতে চাইছে বিহার সরকার। এর জন্য একটি ওয়েবসাইট চালু করল রাজ্যের শিক্ষা দফতর। এর সঙ্গে সহযোগিতায় থাকবে রাজ্যের সমাজ কল্যাণ দফতর। ওয়েবসাইটে স্কুলগুলির মিড-ডে মিল সংক্রান্ত প্রাথমিক তথ্য দেবেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং সহ-প্রধান শিক্ষক। এর জন্য প্রতিদিনের হিসেব পেশ করতে হবে ওই শিক্ষকদের। এই ওয়েবসাইটের সাহায্যে বিহার সরকার ভবিষ্যতে বুঝে নিতে পারবে স্কুল পড়ুয়াদের কাছে দুপুরের খাবার ঠিক মতো পৌঁছছে কি না।
কী ভাবে হবে এই কাজ? সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিনটি বিষয় প্রতিদিন জেলার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের দফতরে শিক্ষকদের জানাতে হবে। সেগুলি হল:
১) প্রতিদিন কত পড়ুয়া স্কুলে উপস্থিত আছে।
২) কত পড়ুয়াকে এই খাবার দেওয়া হয়েছে।
৩) খাদ্য তালিকায় কী কী ছিল।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মিড-ডে মিল নিয়ে অভিযোগ বিস্তর। তা নিয়ে তদন্তও কম হয়নি। বিভিন্ন জায়গায় সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী পারভিন আমান্নুলা নিজে উপস্থিত থেকে অভিযোগের তদন্ত করছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তিও মিলেছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির। তাতেও পরিস্থিতির বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। দেখা গিয়েছে, কোথাও রান্না হয়নি অথচ তার রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। কোথাও বা রান্না হয়েছে কিন্তু খাবার দেওয়ার পাত্র মেলেনি। ফলে এক প্রকার রাস্তায় বসে পড়ুয়ারা কেউ কেউ খবরের কাগজে রেখে খাবার খাচ্ছে। কিন্তু সব ক্ষেত্রে এ ভাবে নজরদারি যে সম্ভব নয় তা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “রাজ্য জুড়ে এই কাজ পর্যবেক্ষণের জন্য একটি বিজ্ঞান ভিত্তিক পদ্ধতি থাকাটা জরুরি। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সরেজমিনে তদন্ত করা হয়েছে ঠিকই। আগামী দিনে যে হবে না তাও নয়। তবে এটা বিজ্ঞান ভিত্তিক হওয়া প্রয়োজন। সেই কারণে ওয়েবাসাইটের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।” মন্ত্রী জানান, এটা ভেবে নেওয়ার ব্যাপার নেই যে কেউ কোথাও পরিদর্শনে যাবে না। যে কোনও সময় আচমকা পরিদর্শন হবে। ওয়েবসাইটে দেয় তথ্য ও বাস্তবের গরমিল হলেই জবাবদিহি করতে হবে সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষকে।
ওয়েবসাইট নিয়মিত পর্যালোচনার কাজটি মূলত করবে শিক্ষা দফতর। এই কাজে সাহায্য করবে গ্রাম ভিত্তিক শিক্ষা কমিটি। মন্ত্রী বলেন, “ওয়েবাসাইটে প্রতিদিন যে রিপোর্ট রাখা হবে তা প্রতি মাসে পর্যালোচনা করা হবে।” |