হোটেলে যুবতীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল এক যুবককে। বর্ধমানের একটি হোটেলে শনিবার ওই যুবতীর গলা কাটা দেহ মেলে। পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় নন্দন পাল নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বাড়ি মেমারিতে। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত জানিয়েছে, নিহত যুবতীর নাম প্রমীলা পাল (৩৫)। তাঁরও বাড়ি মেমারিতে। তবে কী উদ্দেশ্যে খুন, তা নিয়ে পুলিশ এখনও ধন্ধে। পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা জানান, হোটেলে দেওয়া মোবাইল নম্বরের অবস্থান অনুসরণ করে রবিবার সকালে মেমারি বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছয় পুলিশ। সেখানেই ওই যুবককে ধরেন মেমারির ওসি সঞ্জীব ঘোষ। পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘ময়না-তদন্তের পরে নিহতের বাড়ির লোকেরা দেহ নিতে আসেননি। আমাদের সন্দেহ, যুবতীর সঙ্গে ওই ব্যক্তির বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তবে কেন প্রমীলাকে খুন হতে হল, সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি। ধৃতকে ফের জেরা করা হবে।”
|
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদের ঘটনায় মঙ্গলকোট থেকে ধৃতদের হেফাজতে চাইল না পুলিশ। তিন জন ধৃতকে রবিবার আদালতে তোলা হলে তাদের ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। শনিবার মঙ্গলকোটের ধারসোনা গ্রামে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। গ্রেফতার করা হয় ইরফান শেখ, ইসমাইল শেখ, কিসমত শেখ, মেহবুব চৌধুরী, কালাম চৌধুরী ও নুর মহম্মদ নামে ছ’জনকে। ধৃতদের মধ্যে ইরফান ও মেহবুবকে শনিবার রাতেই ব্যক্তিগত জামিনে ছেড়ে দেয় পুলিশ। নুর মহম্মদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ধৃত অন্য তিন জনকে এ দিন কাটোয়া আদালতে তোলা হয়। কিন্তু তাদের হেফাজতে চায়নি পুলিশ। পুলিশের দাবি, এই ঘটনায় জড়িত অন্যদের খোঁজ চলছে। তারা ধরা পড়লে সবাইকে এক সঙ্গে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে। |