পরিচালন সমিতির বৈঠক চলাকালীন স্কুলে ঢুকে অভব্য আচরণ করার অভিযোগ উঠল কাঁকসায়। কাঁকসা গার্লস হাইস্কুলের সিপিএম পরিচালিত পরিচালন সমিতির সভাপতি সুবল ঘোষ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, ঘণ্টা দুয়েক আটকে রেখে হেনস্থা করা হয় তাঁকে। তার জেরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রীষ্মের ছুটির জন্য এখন স্কুল বন্ধ। তবে শনিবারের বৈঠক আগেই ডাকা হয়েছিল। সেই মতো কমিটির সদস্যেরা সকাল ১১টা নাগাদ স্কুলে পৌঁছন। মিনিট কুড়ি পরে পৌঁছন পরিচালন সমিতির সভাপতি সুবলবাবু। বৈঠক শুরু হয়। সুবলবাবু জানান, সম্প্রতি দু’টি শ্রেণিকক্ষ গড়ার জন্য সর্বশিক্ষা অভিযান থেকে ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা এসেছে। স্কুলের ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ১৬০০। সবার সাইকেল রাখার অসুবিধা হয়। সে জন্য সাইকেল স্ট্যান্ড গড়তে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা দিয়েছে ৩ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা। নির্মাণ কাজ কী ভাবে হবে, সে সব বিষয়ে আলোচনা হচ্ছিল। হঠাৎ ১৫-২০ জন বহিরাগত সেখানে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ।
সুবলবাবুর অভিযোগ, “ওই সব লোকজন বলতে থাকে, ‘৩৪ বছর ধরে অনেক চুরি করেছিস। আর করতে দেব না।’ এর পরেই আমাকে টানা-হ্যাঁচড়া করা হয়। সঙ্গে গালিগালাজ। ঘণ্টা দুয়েক আটকে রাখা হয়। পুলিশকে ফোন করতে গেলে মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়।” শেষ পর্যন্ত তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে বহিরাগতেরা পালিয়ে যায় বলে সুবলবাবুর দাবি। রাতে কাঁকসা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা কাঁকসার প্রাক্তন জোনাল সম্পাদক বীরেশ্বর মণ্ডলের মন্তব্য, “অগণতান্ত্রিক উপায়ে এলাকায় কর্তৃত্ব কায়েম করতে চাইছে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী। তাদের উপরে দলের কার্যত কোনও নিয়ন্ত্রণই নেই।” তৃণমূলের কাঁকসা ব্লক সভাপতি অশোক মুখোপাধ্যায়ের অবশ্য দাবি, তৃণমূলের নামে এক দল লোক এলাকায় অরাজকতা করছে। দলের উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানাবেন বলে জানান তিনি। |