ফের বিতর্কে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে নিজের দলেরই দুই নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল। থানা-পুলিশ পর্যন্ত না গড়ালেও, বিষয়টি নিয়ে ভাঙড়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আরাবুল নিজে মারধরের অভিযোগ না মানলেও, উভয় পক্ষে গোলমাল ও তর্কাতর্কির কথা স্বীকার করেছেন।
তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ সদস্য মীর তাহের ও ভাঙড় ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিশ্বনাথ পোদ্দারের অভিযোগ, শনিবার বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ আরাবুল ও তাঁর সঙ্গী কাইজার আহমেদ ভাঙড় থানার কাছে তৃণমূলের কার্যালয়ে যান। দলীয় সম্মেলনের জন্য চাঁদা তোলা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে তাহের ও বিশ্বনাথের বচসা হয়। তার পরই আরাবুল তাঁদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। আরাবুল ও তাঁর সঙ্গীরা দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় বলেও অভিযোগ। কিছু দিন আগেই ভাঙড় কলেজে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল আরাবুলের বিরুদ্ধে। |
এক শিক্ষিকাকে তিনি জলের জগ ছুড়ে মারেন বলেও অভিযোগ। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড় হয়। থানায় অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ দায়ের হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় নেতাদের মাধ্যমে আরাবুলকে সতর্ক করে দেন। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তায় যে ফল হয়েছে, সম্প্রতি ভাঙড় কলেজে পরিচালন সমিতির বৈঠকে তা টের পাওয়া যায়। আরাবুল ইসলাম ওই কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি। কিন্তু সমিতির বৈঠকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আপত্তিতে গোলমালের দিনের প্রসঙ্গই তিনি তোলেননি। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মনে হয়েছে, আরাবুল যেন বদলে যাওয়া অন্য মানুষ।
কিন্তু এ দিন তৃণমূলের দুই নেতাই আরাবুলের বিরুদ্ধে মারধর, হুমকির অভিযোগ করেছেন। আরাবুল অবশ্য গোলমালের কথা অস্বীকার করেননি। তিনি জানান, তর্কাতর্কি হয়েছিল। কিন্তু তিনি কাউকে মারেননি। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, মীর তাহের ও বিশ্বনাথ পোদ্দারই তৃণমূলের সম্মেলনের নাম করে বিল ছাপিয়ে বাসন্তী হাইওয়ের ধারে বেশ কিছু কারখানা থেকে টাকা তুলছিল। এতে দলীয় ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছিল বলে তাঁরা বারণ করতে গিয়েছিলেন। তাহের অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁদের কোনও কাজে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়নি। আরাবুলদের বশংবদ হয়ে না থাকলেই তাঁদের রোষে পড়তে হচ্ছে। |