|
|
|
|
|
|
|
অফ ক্যামেরা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়-এর মুখোমুখি হলেন সংযুক্তা বসু |
‘ল্যাপটপ’-এ অন্ধের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এ কি আপনার চেনা কেউ?
কৌশিক: হ্যাঁ ভীষণ চেনা। নরেন্দ্রপুরের সহপাঠী ঘনিষ্ঠতম বন্ধু সুখময় মিশ্র। আর চূর্ণীর দাদু সাধন গুপ্ত, উনিও ছোটবেলা থেকে দৃষ্টিহীন ছিলেন ওঁর প্রভাবও আছে।
হতে পারতেন যন্ত্রসংগীত শিল্পী। বাবা ছিলেন বিখ্যাত গিটার শিল্পী সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়...
কৌশিক: সে তো আমি শিক্ষকও হতে পারতাম। সেন্ট জেমস আর সেন্ট জেভিয়ার্স মিলিয়ে আট বছর শিক্ষকতা করেছি। সত্যি কথা বলতে কী, যন্ত্রসংগীত শিল্পী হওয়ার কথাও কখনও ভাবিনি। আর যা-ই হোক প্রতি মুহূর্তে তুলনা সহ্য করে রোহন গাওস্কর হওয়ার ইচ্ছে ছিল না।
গানবাজনার বাড়িতে থেকে চিত্রপরিচালক হলেন কী ভাবে?
কৌশিক: ফাইভ থেকে বারো ক্লাস পর্যন্ত নরেন্দ্রপুরে পড়েছি। সেই সময় নাটকের পোকাটা মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন শিক্ষকেরা। স্কুলে থাকতে থাকতেই সিনেমার স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম। মাঝে মাঝে বন্ধুদের সঙ্গে ওই সব ছবির মহরৎ করতাম যেন সেই সব স্ক্রিপ্ট থেকে ছবি হবেই হবে এমন একটা ভাব...
‘আর একটি প্রেমের গল্প’ ছবিটি করে নারীসত্তাকামী পুরুষ হিসেবে পরিচিত চপল ভাদুড়ির জীবনের সংজ্ঞাটাই তো বদলে দিলেন।
কৌশিক: ছবি করার পর চপলদা কিছু টাকা পয়সা পেয়েছেন। কিন্তু জীবন তো বদলায়নি। এই তো দেখলাম সেদিন গাড়ি করে রাস্তায় যেতে যেতে কার সঙ্গে যেন দূরে ফুটপাথে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গল্প করছেন। চপলদাকে কিছু পরিচিতি দিতে পেরেছি। কিন্তু তাঁর সমস্যার বাইরে বের করে আনতে পারিনি বোধ হয়।
এক দিকে যেমন সিরিয়াস ছবি করেছেন, তেমনি অন্য দিকে হালকা মেজাজের ‘জ্যাকপট’, ‘ব্রেক ফেল’, ‘রং মিলান্তি’ও আছে। এই দুই গোত্রের মধ্যে ভারসাম্য রাখেন কী করে? কৌশিক: ছবি করিয়ে হিসেবে কোনও ভাবে নিজেকে সীমাবদ্ধ করে রাখতে করতে চাইনি। সেই জন্যই পরের ছবি ‘ল্যাপটপ’ হচ্ছে জেনেও ‘রং মিলান্তি’ করলাম। আমি নিজে খুব হইহুল্লোড় করে বাঁচা লোক। সেই মেজাজ আমার ছবিতেও মাঝে মাঝে প্রতিফলিত হয়। আমার এই বৈচিত্রবোধের অনেকটাই লুকিয়ে আছে ছেলেবেলায়। |
|
কেমন ছিল সে ছেলেবেলা?
কৌশিক: বাড়িতে হইহুল্লোড়, গানবাজনা, আড্ডা, মজলিশ এত বেশি হত যে আমার পড়াশোনায় অসুবিধে হতে পারে এই ভেবে বাবা-মা আমাকে দাদু-দিদার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। গড়িয়ার কাছে মহামায়াতলার দাদু-দিদার সেই একতলা বাড়ির পাশে ছিল মেঠো রাস্তা, বাঁশ ঝাড় আর পুকুর। সেখানে কাঁথা সেলাই, ঠাকুর তৈরি করা, ধূপদানি বানানো এ সব শিখে ছিলাম। ড্রইং খাতা নয়। ছবি আঁকতাম মাটিতে। দিদা চক দিয়ে এঁকে যেতেন, আমি তার ওপর হাত বোলাতাম। অক্ষর পরিচয়ও সে ভাবেই। ঝুলন সাজানোর জন্য কাঠ কল থেকে ভুষি এনে রং করে মাঠ বানাতাম। গুলতি তৈরি করে তাই দিয়ে পাখি শিকার করতাম। কিন্তু একটা পাখিও মরত না। দাদু বলত, “চিন্তা করিস না। ওরা সব বাড়ি গিয়ে মরে যায়।” সে এক অসামান্য ছেলেবেলা।
আর আপনার আজকের সংসার? স্ত্রী চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে কেমন ভাবে চলছে?
কৌশিক: আমি স্বভাব বাউন্ডুলে। আমাদের সংসারকে অসম্ভব নিয়মনিষ্ঠ ভাবে চালিয়ে চলেছে চূর্ণী। ঘর সাজানো থেকে বাজার করা, লেখলেখি, ছেলে উজানের পড়াশোনা দেখা, তাকে নানা ভাবে গড়ে তোলা, কিংবা অভিনয়, সবেতেই চূর্ণী গভীর ভাবে জড়িয়ে আছে।
চূর্ণীকে আপনার ছবিতে যত দেখা যায়, অন্য পরিচালকদের ছবিতে তত দেখা যায় না, এটা কেন?
কৌশিক: এ শহরের একটা ম্যাজিক আছে। এখানে অনায়াসে যোগ্য লোকজনকে অবহেলা করা যায়। ‘ল্যাপটপ’-এ অভিনয় করার পর লোকে আমার ঝুড়ি ঝুড়ি প্রশংসা করছে। কিন্তু ক’জনের ছবিতে আমি ক’বার কাজ করেছি? অনন্যা চট্টোপাধ্যায় জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর ‘ল্যাপটপ’-এর আগে পর্যন্ত আর কোনও তাৎপর্যপূর্ণ ছবিতে কাজ করার অবকাশই পাননি। ইন্দ্রাণী হালদার জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পরের বছর যাত্রা করতে গিয়েছিলেন। তা হলে?
বাংলা ছবি দেখতে দর্শক আবার হলমুখী। আপনি তো কবেই এই নতুন ধারার ছবি শুরু করেন। নিজেকে কতটা প্রবক্তা মনে হয়?
কৌশিক: আমাদের টেলিফিল্মগুলো নতুন ধারার বাংলা ছবিকে নিয়ে এসেছে। বাংলা ছবিকে বদলানোর জন্য বেশ কিছু লোক সেই বন্ধ কপাটে লাথি মেরেছে। সেই সঙ্গে আমিও বেশ কয়েকটা লাথি মেরেছিলাম। অবদান আমার এইটুকুই। (হাসি)
আপনার ছবিতে যৌনতার একটা আলাদা জায়গা আছে। এটা কি আপনি ইচ্ছে করে রাখেন?
কৌশিক: যৌনতা জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা একটা সুন্দর অনুষঙ্গ। গাঢ় প্রেমের সঙ্গে যে যৌনতা বা শরীরবোধ জড়িয়ে থাকে তা আমার ছবিতে জায়গা পায় অনায়াসে, গল্পের প্রয়োজনেই।
পরের ছবি তো ‘শব্দ’। এখানেও বিষয় বৈচিত্র শুনেছি...
কৌশিক: সিনেমায় যত রকম শব্দ হয় সব মানুষেরই তৈরি। এঁরা ফোলিও আর্টিস্ট। তেমনই এক জনকে নিয়ে গল্প যিনি শব্দ রচনা করেন, কিন্তু থেকে যান উজ্জ্বল আলোর আড়ালে। আর একটি ছবি করছি। নাম ‘খাদ’। শুটিং হবে সিকিমে। পুরোটাই। |
|
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের |
• কেন্দ্রীয় সরকার নতুন নতুন ট্যাক্স বসিয়ে বা বিশ্ব বাজারের হাতে তুলে দিয়ে পেট্রোল, ডিজেল সব কিছুর দাম মাসিক হারে বাড়াচ্ছে। অথচ আমাদের বলছে খরচ কমাতে! এ রকম আজগুবি দাওয়াইয়ের মানে কী?
শুভ্র সেন। বালি
• দিদি বলেছেন, মুকুল আর দুষ্টু লোক ভ্যানিশের কার্টুনটা ‘সাইবার ক্রাইম’। কারণ, ওতে মানুষকে ‘ভ্যানিশ’ অর্থাৎ খুন করার কথা বলা হয়েছে। অতএব,
পি সি সরকার সাবধান!
রুদ্রপ্রতাপ সিংহ। বজবজ
• ৩৪+১ বছর কাটল। কেউ কথা রাখেনি!
কমলবন্ধু চট্টোপাধ্যায়। হাওড়া
• পরিবর্তনের প্রথম অধ্যায় (মধুসূদন) দত্ত হলেন চট্টোপাধ্যায়!
মানিক ঘোষ। দমদম
• দিদির নাবালক সরকারের কাছ থেকে সাবালক আচরণ আশা করাটাই তো ভুল!
রঞ্জন সেন। গল্ফ গ্রিন
• সংসদ এত দিনে সিনিয়র সিটিজেন হল।
অরুণ গুপ্ত। কলকাতা-৮৪
• ৭৬ হাজার কোটির টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারির নায়ক এ রাজা জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর রাজোচিত মর্যাদা পেয়ে আপ্লুত হয়ে তাঁর গুণমুগ্ধদের উদ্দেশে উড়ন্ত চুম্বন ছুড়ে তাদের পাগলা করে দিয়েছেন। আহা ‘রাজা’ ওই কাষ্ঠ চুম্বনের পরিবর্তে যদি ভাণ্ডার থেকে কিছু কাঞ্চন-মুদ্রা ছুড়ে দিতেন, তা হলে প্রজারা গাওয়ার সুযোগ পেতেন ‘আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে...’!
পার্থসারথি ভট্টাচার্য। বর্ধমান
• দেখানোর জন্যে কাটতে উদ্যত তরমুজ বিক্রেতাকে ক্রেতা: ‘গভীরে যাও, আরও গভীরে যাও’।
নীলাঞ্জন চৌধুরী। কলকাতা-৫৪
• সত্যিই গরম পড়েছে। ভিক্টোরিয়াতেও প্রেমিক-প্রেমিকা নেই। তবে বাইরে গাছের নীচে তাঁদের শো-এর অপেক্ষায় কিছু দর্শক নাকি লেবুজল খেয়ে বসে আছেন। তাঁদের ‘তাপ’-এর ব্যাপারটা একটু আলাদা!
মৌপিয়া শীল। ওয়াটগঞ্জ
• হিন্দি ছবি ‘ভিকি ডোনার’ রিলিজের পর একটি বাংলা কথার সামান্য পরিবর্তন হল ‘দাতা কর্ণ’ এখন ‘দাতা ভিকি’!
মহাকাশ। বেথুয়া
• শুনলাম, পাকিস্তানের একটা ক্রিকেট টিম ইন্ডিয়াতে টি-টোয়েন্টি খেলতে আসবে। ভাল, এই গরমেও যদি সম্পর্কের ‘বরফ’ না গলে তবে আর কবে গলবে?
বোধিসত্ত্ব। বড়িশা |
|
|
|
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় |
তখন বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করে ফেলেছি। এক দিন ফোন পেলাম পরিচালক তপন সিংহর কাছ থেকে। বললেন, প্রতিবন্ধীদের নিয়ে একটি সিনেমা করছেন। স্ক্রিপ্টটা দেখে দিতে হবে। ডাক্তাররা রোগীদের সঙ্গে যে বিশেষ ভাষায় কথা বলেন, সেটা স্ক্রিপ্টে আনতে হবে। স্ক্রিপ্টে ডাক্তার আর রোগীর কথপোকথনের খানিকটা পড়ে বললেন, আপনি হলে কি এই ভাবেই বলতেন? বললাম, না। তার পর পুরো স্ক্রিপ্টটাই কেটেকুটে নতুন করার স্বাধীনতা দিলেন।
এর মাস দেড়েক পর আবার তপনবাবুর ফোন পেলাম, ‘হুইল চেয়ার’ বলে যে ছবিটা করছেন তাতে চিকিৎসকের একটি পার্ট আমি করব কি না? সঙ্গে বিনীত ভাবে বললেন, পার্টটা কিন্তু ছোট। বললাম, আপনার ছবিতে অভিনয় করব সেটাই তো বড় কথা।
বনহুগলি গ্রুপ অব হসপিটালস-এ শুটিং হবে। পৌঁছে দেখি মেক-আপ ম্যান নেই, বাইরের কেউ নেই। শুধু প্রোডাকশনের কয়েক জন। এক জন বললেন, তপনদার ছবিতে মেক-আপ লাগে না। এ ভাবেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন। নিখুঁত সেট। হাসপাতালের রেডিয়োলজি বিভাগ যেমন হওয়া উচিত ঠিক সে রকম। পার্ট বুঝিয়ে দিলেন। সহকর্মী চিকিৎসককে বোঝাতে হবে যে রোগীর সারভাইকাল রিজিয়নে ফ্রাকচারের জন্য প্যারালিসিস হয়েছে। ক্যামরা চালু হল। আগের কয়েকটি ছবিতে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বেশ জমিয়ে অভিনয় করলাম। শট শেষে জিগ্যেস করলাম, কেমন হয়েছে। আড়ালে নিয়ে গিয়ে বললেন, ভাল, কিন্তু হয়নি। প্রায় কানে কানে বললেন, আপনাকে তো যাত্রা করার জন্য আনিনি। তা হলে তো চিৎপুর থেকে কাউকে নিয়ে আসতে পারতাম। আপনার অধীনে যখন ভর্তি ছিলাম, তখন কি এ ভাবেই কথা বলতেন? আমি সেই ডাক্তার শান্তনুকেই চাই। বুঝলাম উনি কোনও অভিনয় চান না। সেকেন্ড শট। এক বারে ও কে। |
|
|
ভেবেছিলাম, মাস্তানিটা ভুলবে এ বার ডলার।
মারবি মুখে জোর জি ডি পি, ধরবি চেপে কলার।
ও মা কোথায়? তার বদলে গড়িয়ে পড়িস তুই!
সেনসেক্স তো প্রায় ছুঁয়েছে ভুঁই।
ঘুঁটের মালা খোলাখুলি, নয়কো চুপিচুপি, গলায় নে তুই রুপি |
|
|
বেচারা সূর্য, রুপির এই দুর্দিনেও
বাজার গরম রাখার চেষ্টা করছে!
পাপিয়া পাল, বাগমারি |
|
|
|
|
ক্ষমা করিনি |
|
অফিস ফেরত ট্রেন রিষড়া স্টেশনে ঢোকার মুখে এগিয়ে গেলাম গেটের দিকে। একে একে লোক নামছে। সামনের এক স্বামী-স্ত্রী কেন জানি না, নামতে দেরি করছে। তাদের পিছনে একটি তরুণ। তার পিছনে আমি। দেখি, ওই ছেলেটি ওদের ওভারটেক করে নেমে গেল। স্টেশনে নামতেই ওই স্বামী ভদ্রলোক হঠাৎ আমার দিকে ফিরে বললেন, ‘এতখানি বয়স হল, খিস্তি করছেন?’ ওঁর সঙ্গে মহিলা। অতএব সাধারণের সহানুভূতি ও দিকেই। হঠাৎ দেখি আমারই এক বাল্যবন্ধু ও সহকর্মী (বর্তমানে প্রয়াত)। সে প্রতিবাদ জানিয়ে বলল, ‘আমি পিছনেই ছিলাম। ও কিছুই বলেনি। যে কোনও দিন ‘শালা’ কথাটা উচ্চারণ করল না, সে করবে খিস্তি?’ স্বামীটিকে দেখেই বোঝা যায় মাথামোটা ও রগচটা। রেহাই পেলাম। পরে বুঝলাম, ওই চ্যাংড়া ছেলেটি ওদের নামতে দেরি হচ্ছে দেখে কোনও অশালীন মন্তব্য করে টুক করে পাশ দিয়ে নেমে গিয়েছে। ভুল লোককে আক্রমণের জন্য স্বামীটিকে ক্ষমা করিনি।
তপনকুমার মল্লিক, হুগলি |
|
ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১
|
|
|
|
|
|
|