|
|
|
|
৩ অভিনেতার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা |
ফের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়নাগুড়ি |
প্রতারণা মামলায় কালকাতা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও কোনও পদক্ষেপ না-করায় ফের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হল টালিগঞ্জের তিন অভিনেতার বিরুদ্ধে। শুক্রবার শিলিগুড়ি আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সন্তোষ পাঠক ওই তিন অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত, কাঞ্চন মল্লিক এবং হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। কলকাতা পুলিশের কমিশনারকে বিচারক নির্দেশ দিয়েছেন ওই তিন জনকে আদালতে হাজির করানোর জন্য। ওই মামলায় অপর অভিযুক্ত টালিগঞ্জের অভিনেত্রী শ্রাবন্তী বিশ্বাসের আইনজীবী আদালতে হাজির হয়ে সময় চাওয়ায় অবশ্য রেহাই পেয়ে যান। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের জুলাই মাসে আদালতে ওই চার অভিনেত্রী-অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মামলাটি করে শিলিগুড়ির পাকুড়তলা ক্লাব। পাকুড়তলা ক্লাবটির অভিযোগ, গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি তাঁরা শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে টি-২০ প্রদর্শনী ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করেছিলেন। বলিউড এবং টলিউডের বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী এবং অভিনেত্রী ওই খেলায় অংশ নেন। তার মধ্যে অভিযুক্ত চার অভিনেতা অভিনেত্রী ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়েও প্রদর্শনী ম্যাচে অংশ নেননি। যে এজেন্টের মাধ্যমে ওই অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গে চুক্তি হয় তিনি ৩ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে রাজি হন। তিনটি চেকের মাধ্যমে ওই টাকা দেওয়া হলেও ব্যাঙ্কে তা বাউন্স হয়। তার পরেই ক্লাবটির পক্ষ থেকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ও ৪০৬ ধারায় মামলা হয়। ওই ক্লাবের হয়ে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী সুনীল সরকার। তিনি অভিযোগ করেছেন, “গত বছর মামলা দায়েরের পরে চার অভিনেতা অভিনেত্রীই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন জানান। হাইকোর্ট ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দেয়। স্থগিতাদেশের ওই মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও অভিযুক্তরা পরবর্তী কোনও পদক্ষেপ করেনি। আদালতেও হাজির হননি। এদিন আদালতে সেই ব্যাপারে প্রমাণ পেশ করা হয়। তার পরেই বিচারক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।” |
|
|
|
|
|