|
|
|
|
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়নাগুড়ি |
দলীয় পঞ্চায়েতকে মারধরের অভিযোগকে ঘিরে ময়নাগুড়িতে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। বুধবার রাতে খাগরাবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিলারডাঙা গ্রামে ওই ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে দলের দুই গোষ্ঠীর তরফেই পুলিশের কাছে পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। জখম পঞ্চায়েত সদস্য দলের ব্লক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোলাবাজি ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। অন্যদিকে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে সভায় ডেকে স্ত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন দলের এক কর্মী। ময়নাগুড়ি থানার আইসি বিশ্বনাথ হালদার বলেন, “দু’পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য ভবেশ সাহা বুধবার রাতে বাসিলারডাঙা গ্রামে কয়েকজন কর্মীকে নিয়ে আলোচনার সময় দলের খাগরাবাড়ি-২ অঞ্চল কমিটির সভাপতি বাবলু রায় তাঁকে ডেকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। ঘটনার পরে ভবেশবাবুকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর অভিযোগ, দলে ব্লক কমিটি বলে এখন কিছু নেই। তোলাবাজি, দুর্নীতি বেড়েই চলেছে। এতদিন সিপিএমের ঘনিষ্ঠরা এখন দলীয় দফতরে ভিড় করে থাকেন। প্রাক্তন সভাপতি সুভাষ বসু তাঁদের মদত দিচ্ছেন। ওই অরাজকতার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে লাঞ্ছিত হতে হচ্ছে। তিনি বলেন, “সুভাষবাবুদের প্রশ্রয়ে বাবলু রায়ের নেতৃত্বে খাগরাবাড়ি-২ এলাকায় একদল সমাজবিরোধী দলের নাম করে লুঠপাট চালাচ্ছে। ওই সমস্ত ঘটনার কথা শুনতে বুধবার রাতে বাসিলারডাঙা গ্রামে যান। টের পেয়ে বাবলুবাবুরা তাঁর উপরে হামলা চালায়।” যদিও সুভাষবাবু ওই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, ভবেশবাবু যে সমস্ত লোকজনকে নিয়ে চলছেন তাঁরা কতদিন আগে দলে এসেছেন। কী তাঁদের ভূমিকা আগে সেটা খতিয়ে দেখুন। তিনি বলেন, “আমরা নীতিগত কারণে দু’দিন আগে দলে আসা যে সমস্ত লোকজনের সঙ্গে চলতে পারছি না ভবেশবাবু তাঁদের সঙ্গে জোট করে দল বিরোধী কাজ করে চলেছেন। মুখে না বলে তিনি প্রমান করুন দলীয় কার্যালয় থেকে তোলাবাজদের প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে।” ভবেশবাবুর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দলের খাগরাবাড়ি-২ অঞ্চল সভাপতি বাবলুবাবুও। তাঁর অভিযোগ, ভবেশবাবু গোপনে এলাকায় ঢুকে দলের মধ্যে গোষ্ঠী তৈরির পাশাপাশি কিছু আপত্তিকর কাজ শুরু করেছিলেন। বুধবার রাতে আলোচনার নাম করে এলাকার এক দলীয় কর্মী ও তাঁর স্ত্রীকে বাসিলারডাঙা গ্রামের এক বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। মহিলার শ্লীলতাহানি করেন। এর পরেই এলাকার সাধারণ কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, “আমরা চাইনি বিষয়টি নিয়ে বাইরে হইচই হোক। আলোচনার মাধ্যমে দলীয় স্তরে মিটিয়ে নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা সম্ভব না হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।” ভবেশবাবু ওই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “বুধবার রাতে যে কয়েকজনের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম তাঁদের মধ্যে মহিলা কর্মী ছিলেন না। আমাকে হেনস্থা করার পরে এখন মিথ্যে অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|