|
|
|
|
জেলা ভাগে আপত্তি করল মোর্চা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফালাকাটা ও আলিপুরদুয়ার |
জলপাইগুড়ি জেলা ভেঙে আলিপুরদুয়ার জেলা গঠনের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে আপত্তি জানাল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।
শুক্রবার মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে, ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-এ তরাই-ডুয়ার্সের এলাকা অন্তর্ভুক্তির দাবি খতিয়ে দেখে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শ্যামল সেনের নেতৃত্বাধীন উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি রিপোর্ট জমা না দেওয়া পর্যন্ত প্রশাসন আলিপুরদুয়ার জেলা গঠনের সিদ্ধান্ত নিলে, তার বিরোধিতা করা হবে।
মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, “জিটিএ-তে তরাই-ডুয়ার্সের ৩৯৮টি মৌজার দাবি করা হয়েছে। তা নিয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি শীঘ্রই রিপোর্ট জমা দেবে। তার আগে জেলা ভাগের সিদ্ধান্ত যুক্তিযুক্ত নয়। তাতে আমাদের আপত্তি রয়েছে।” এ দিন মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রোহিত থাপা জয়গাঁয় সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, আলিপুরদুয়ারকে পৃথক জেলা করার বিষয়ে সর্বদল বৈঠকে মোর্চা কিংবা আদিবাসী নেতাদের ডাকা হয়নি। তাঁর দাবি, “আগামী ২৮ মে-এর সর্বদল বৈঠকে আমাদের ডাকতে হবে। আদিবাসী নেতা জন বার্লাকেও ডাকতে হবে।”
উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির রিপোর্ট জুন মাসের প্রথম সপ্তাহেই জমা পড়ার কথা। তার আগে জেলা গঠনের ব্যাপারে সব দল সহমত হলেও সরকারি ভাবে বিজ্ঞপ্তি জারির প্রক্রিয়া খানিকটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তা হলে মোর্চা নেতৃত্ব আগেভাগেই ‘বিরোধিতা’য় নামলেন কেন? মোর্চা অন্দরের খবর, প্রস্তাবিত জেলা নিয়ে কালচিনি, জয়গাঁর মতো এলাকার নেপালিভাষীদের একটি বড় অংশের ‘উচ্ছ্বসিত’ হওয়ার খবর রোশন গিরিদের কাছে পৌঁছেছে। মোর্চা নেতাদের একাংশ মনে করছেন, জিটিএ-তে ডুয়ার্সের যে সব এলাকা অন্তর্ভুক্তির দাবি সামনে রেখে তাঁরা এগোতে চাইছেন, সেখানকার বাসিন্দারা অনেকেই নতুন জেলা হলে প্রত্যাশাপূরণ অপেক্ষাকৃত সহজ হবে বলে ভাবতে শুরু করেছেন। তাতেই মোর্চা নেতারা শঙ্কিত। মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা ডুয়ার্সের বাসিন্দা এক নেতা জানান, তাঁরা তাঁদের ‘আশঙ্কা’র কথা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানান। এর পরেই কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে ডুয়ার্সে সাংবাদিক বৈঠক হয়। রোশন গিরি বলেন, “দলের সিদ্ধান্ত মেনেই জয়গাঁয় ওই বৈঠক হয়েছে।” |
|
|
|
|
|