উদ্বোধনের আগের রাতেই ঝড়ে ব্যাঘাত ঘটল প্রগতি উৎসবের প্রস্তুতিতে। আজ, শনিবার রাজ্য সরকার আয়োজিত এই উৎসব উপলক্ষে মেলা শুরু হওয়ার কথা। সেই অনুসারে মিলনমেলা প্রাঙ্গণে চারটি অস্থায়ী হ্যাঙ্গারে বিভিন্ন দফতরের স্টল তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু শুক্রবার রাতের আচমকা ঝড়ে বেশ কয়েকটি স্টলের ক্ষতি হয়েছে বলে মেলা কমিটি সূত্রের খবর। আহত হন এক শ্রমিক। তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। |
ঝড়ে বিধ্বস্ত মিলনমেলার প্যাভিলিয়ন। |
প্রশাসন সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ শিল্প উন্নয়ন নিগম, সংখ্যালঘু, বিপর্যয় মোকাবিলা, শিক্ষা-সহ বিভিন্ন দফতরের স্টল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিল্প উন্নয়ন নিগমের স্টলের শুধু পিছনের কাঠামোটি অক্ষত, বাকি পুরোটাই ভূমিশয্যা নিয়েছে। উড়ে গিয়েছে একাধিক স্টলের পলিথিনের পার্টিশন। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, এ দিন ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬৮ কিলোমিটার। এই মরসুমে ঝড়ের গতিবেগের যে-নজির রয়েছে, তার তুলনায় অনেক কমই। প্রশ্ন উঠছে, এত কম গতিবেগের ঝড়েও স্টলগুলির ক্ষতি হল কেন?
প্রশাসন সূত্রে বলা হচ্ছে, স্টল বানানোর জন্য ব্যবহৃত লোহার কাঠামোর কোনও ক্ষতি হয়নি। কিন্তু হ্যাঙ্গারের ফাঁকা অংশ দিয়ে ঝোড়ো বাতাস ভিতরে ঢোকার ফলেই কাজে ব্যাঘাত ঘটেছে। রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের চার দিকে এলেমেলো হয়ে পড়ে রয়েছে স্টলের সাজসরঞ্জাম। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ফের স্টল সারাতে শুরু করেছেন কর্মীরা। তাঁরা জানান, ঝড়ের মধ্যেও কয়েকটি স্টলে শেষ মুহূর্তের কাজ চলছিল। কিন্তু ঝড়ের দাপটে আতঙ্কিত শ্রমিকেরা শেষ পর্যন্ত স্টলে থাকতে ভরসা পাননি। স্টল ছেড়ে মাঠের খোলা জায়গায় চলে যান তাঁরা। |
মিলনমেলায় শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। |
স্টলগুলির কাঠামো নির্মাণের দায়িত্বে থাকা সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর জিতেন্দ্র কপূর বলেন, “বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ছোটখাটো যে-ক্ষতি হয়েছে, তা রাতের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে। আমাদের কোনও শ্রমিক জখম হননি।” আর প্রশাসনের কর্তারা বলছেন, নির্দিষ্ট সময়ে মেলার উদ্বোধন করাটাই এখন চ্যালেঞ্জ।
|