জাল নোট চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নবদ্বীপের একটি লজ থেকে এক মহিলা-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে আগমনী মজুমদার, তার স্বামী প্রশান্ত মজুমদার এবং জাল নোট চক্রের পান্ডা সইফুল মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ২২ হাজার টাকার জাল নোটও উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার নবদ্বীপের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদলতে ধৃতদের হাজির করা হয়। সরকারি আইনজীবী নব্যেন্দু মণ্ডল বলেন, “ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৮৯ বি, ৪৮৯ সি এবং ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিচারক প্রশান্ত মজুমদার ও সইফুল মণ্ডলকে ১২ দিনের পুলিশ হেফাজত এবং আগমনী মজুমদারকে ১৪ দিনের জেল হাজতের নিদের্শ দিয়েছেন।”
পুলিশ জানায়, এ দিন সকালে আগমনী ও প্রশান্ত নবদ্বীপের পোড়ামাতলার ওই লজে ওঠেন। শহরের বিভিন্ন দোকানে কয়েক হাজার টাকার জাল নোট দিয়ে কেনাকাটা করেন। রাতে একটি গয়নার দোকানে জাল নোট দিলে দোকানদারের সন্দেহ হয়। তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করে। নদিয়ার পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমণ মিশ্র বলেন, “সইফুলকে পুলিশ মুর্শিদাবাদের ইসলামপুর থেকে গ্রেফতার করেছে। আমরা আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছি।” আগমনীদেবী ও প্রশান্তবাবু পুলিশের কাছে দোষ স্বীকার করেছেন। জানান, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার জাল টাকার কারবার করছেন তারা। প্রতি হাজার টাকার জাল নোট বাজারে ছড়িয়ে দিতে পারলে ২০০ টাকা করে কমিশন পেতেন তারা। প্রশান্তবাবুর বাড়ি নদিয়ার বেথুয়াডহরির মানসীপল্লিতে। আগমনীদেবী নাকাশিপাড়ার বাসিন্দা। সইফুল মণ্ডল ওদের জাল নোট সরবরাহ করতেন বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। |