|
|
|
|
পালাতে পারেন, তাই জামিন নয় লক্ষ্মণকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ধরা না-দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ‘পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন’। একই ভাবে আবার পালিয়ে যেতে পারেন। সেই আশঙ্কা থেকেই নন্দীগ্রাম পুনর্দখল মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের জামিনের আবেদন শুক্রবার খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
ওই সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে সরকার পক্ষের অভিযোগ ছিল, ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর নন্দীগ্রাম পুনর্দখলের পরিকল্পনা করা হয়েছিল সিপিএমের কলাগাছিয়া পার্টি অফিসে। পুনর্দখলের ছক কষার বৈঠকে লক্ষ্মণবাবু ছিলেন। ওই পরিকল্পনা অনুসারেই ৬ নভেম্বর তেখালির মোড় থেকে পুলিশ ফাঁড়ি সরিয়ে নেওয়া হয়। সিআইডি-কে ওই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বলেছিল ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার কেস ডায়েরি তলব করে তারা। বৃহস্পতিবারেই সিআইডি তাদের রিপোর্ট ও কেস ডায়েরি হাইকোর্টে পেশ করে। আবেদনকারীর আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, লক্ষ্মণবাবুর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ সাজানো। তিনি ৪ নভেম্বর কলাগাছিয়ায় আদৌ যাননি। সরকার বদলের পরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় এ-সব করা হচ্ছে। আর রাজ্য সরকারের পিপি দেবাশিস রায়ের বক্তব্য ছিল, নন্দীগ্রাম পুনর্দখলের মূল হোতা লক্ষ্মণবাবুই। তিনি এই ষড়যন্ত্রের নায়ক। ডিভিশন বেঞ্চে বৃহস্পতিবারই লক্ষ্মণবাবুর জামিনের আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছিল। এ দিন তারা রায় দেয়।
কেন লক্ষ্মণবাবুর জামিনের আবেদন খারিজ করা হল, এ দিন তার পক্ষে তিনটি যুক্তি দিয়েছে বিচারপতি অসীম রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। l তাঁর বিরুদ্ধে সমন জারি করার পরেও একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ ওই সিপিএম নেতা আদালতে হাজির হননি। l তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরেও ওই অভিযুক্ত আত্মসমর্পণ করেননি। l সিআইডি লক্ষ্মণবাবুকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করে। অর্থাৎ তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। জামিন দেওয়া হলে তিনি ফের পালিয়ে যেতে পারেন।
ডিভিশন বেঞ্চের আরও বক্তব্য, চার্জশিট পেশ হলেও সিআইডি অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেবে বলে জানিয়েছে। মামলার তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। এই অবস্থায় হাইকোর্ট মনে করে, আবেদনকারীকে জামিন দেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে না। |
|
|
|
|
|