দক্ষিণ কলকাতা: বেহালা
বজবজ ট্রাঙ্ক রোড
সংস্কার শুরু
বশেষে শুরু হল বজবজ ট্রাঙ্ক রোড সংস্কারের কাজ। সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তার সারাই এবং সম্প্রসারণের কাজ করছে পূর্ত দফতরের হাইওয়ে ডিভিশন। প্রাথমিক পর্যায়ে খরচ হবে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা।
তারাতলা রোডের নেচার পার্কের উল্টো দিক থেকে শুরু হয়ে বজবজ ট্র্যাঙ্ক রোড মহেশতলার আক্রা ফটক পর্যন্ত বিস্তৃত। পুরো রাস্তাটি মহেশতলা পুরসভার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। কলকাতা থেকে মহেশতলার বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও সন্তোষপুর, রবীন্দ্রনগর, আক্রা ফটক যাওয়ার জন্য অনেকে এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন।
এই শহরতলি অঞ্চলে বসতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাটির উপর চাপও বাড়ছিল। অভিযোগ, অতিরিক্ত ব্যবহারে রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়েছিল। নেচার পার্কের উল্টো দিক থেকে প্রায় ৫০০ মিটার রাস্তা বড় ট্রেলারের চলাচলের ফলে খন্দে ভরে উঠেছে। এই অংশে সারা বছরই জল জমে থাকে।
মাঝেমধ্যেই পূর্ত দফতর বা মহেশতলা পুরসভা রাস্তা সারালেও সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি। এই অংশটুকু দুর্ঘটনাপ্রবণও হয়ে উঠেছিল। মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের দুলাল দাস জানান, স্থানীয় বাসিন্দারা বার বার রাস্তাটি সারানো এবং সম্প্রসারণের দাবি করছিলেন।
রাস্তাটি দিয়ে ট্রেলার ছাড়াও বাস, প্রাইভেট গাড়ি, অটো চলাচল করে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এক লেনের রাস্তাটি সাড়ে পাঁচ মিটার চওড়া। ফলে মাঝেমধ্যেই যানজট হয়ে যায়। ব্যস্ত সময়ে সমস্যা আরও তীব্র হয়। তাঁদের দাবি, রাস্তা সারানোর পাশাপাশি চওড়াও করতে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুপর্ণা পাল বলেন, ‘‘রাস্তাটি এই অঞ্চলের লাইফলাইন। কিছু অংশের হাল খারাপ। তা ছাড়া যানজট লেগেই আছে। ফলে এ রাস্তায় যাতায়াত করা দুঃসহ হয়ে উঠেছিল। রাস্তা সারানোর পাশাপাশি চওড়া করারও দরকার।”
পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, যেখানে রাস্তা খারাপ হয়েছে, সেখানে সারাই করা হবে। পাশাপাশি রাস্তাটি আরও দু’মিটার চওড়া করে দু’লেনের করা হবে। রাস্তা যাতে দ্রুত খারাপ হয়ে না যায় তাই ম্যাসটিক অ্যাসফল্ট করা হবে। এতে পিচ উঠে যাওয়ার আশঙ্কা কমবে। দুলালবাবু বলেন, “মানুষের অনেক দিনের দাবি মেনে কাজ শুরু হয়েছে। সংস্কার শেষ হলে এ পথে যাতায়াতে সুবিধা হবে।”
পূর্ত দফতরের হাইওয়ে ডিভিশনের এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বিনয় মজুমদার বলেন, “ওই রাস্তাটি কয়েক বছর ধরেই খারাপ হয়ে পড়েছিল। বিশেষ করে নেচার পার্কের উল্টো দিকে রাস্তার কিছু অংশের হাল খুবই খারাপ ছিল। তা ছাড়াও রাস্তাটি দিয়ে গাড়ির চাপ বাড়ায় দু’লেন করার দরকার হয়ে পড়েছিল। আমরা সেটাই করেছি।”

ছবি: পিন্টু মণ্ডল




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.