ক্লিক অর প্রেস ‘ট্যাবলেট’ এখন মিঠে
ম্পিউটার নয়। মোবাইল নয়। ট্যাবলেট রয়েছে এদের মাঝে।
ট্যাবলেট কিন্তু ডেস্কটপ বা স্মার্টফোনের বিকল্প নয়। মোবাইলের কিছু সুবিধা পাওয়া গেলেও ফোন করা যাবে না। নেই কোনও কি-বোর্ডও। ডেস্কটপের মতোও কাজ করবে না। অনেকটা স্লেটের মতো দেখতে। টাচ্-স্ক্রিন মিডিয়া প্লেয়ারের মতো কাজ করে।
তা হলে ট্যাবলেট নেবেন কেন? একাধিক কারণ রয়েছে।
শুরুতে বলি, ট্যাবলেটে সহজে ই-মেল দেখা যায়, ব্রাউজ করা যায়, ভিডিও চ্যাট করা যায়, সিনেমা দেখা যায়, গান শোনা যায় এবং গেম খেলা যায়। স্মার্টফোনের থেকে স্ক্রিন বড় বলে দেখতেও সুবিধা হয়। আবার ল্যাপটপের তুলনায় ওজনও কম।
ট্যাবলেট প্রধানত দু’ধরনের অপারেটিং সিস্টেমে চলে। একটি হল, অ্যাপলের iOS। iOS-এ আইপ্যাড ছাড়া আইফোন এবং আইপড টাচেই কাজ করে। iOS-এর অন্যতম সুবিধা হল, এর সঙ্গে নানা কাজের জন্য ২ লক্ষেরও বেশি অ্যাপস সহজে কেনা যায়। অ্যাপসগুলি কাজও করে ভাল। অন্যটি হল, অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। অনেক সংস্থাই অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে। অ্যানড্রয়েডের নতুন সংস্করণ হল ‘Android 4.0’ বা ‘Ice Cream Sandwich’। মোবাইলের ‘Gingerbread’ অপারেটিং সিস্টেম আর ট্যাবলেটের পুরনো ‘Honeycomb’ অপারেটিং সিস্টেম মিলিয়ে অ্যানড্রয়েডের এই নতুন সংস্করণ তৈরি হয়েছে।
পড়াশোনার জগতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। পোশাকি ভাষায় একে বলা হচ্ছে ‘Information Communications Technology (ICT)’। এখনই অনেক স্কুলে এই পদ্ধতির ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তি মানেই তো অনেক কম্পিউটার, অনেক তার আর হাজারো সংযোগ। কিন্তু ট্যাবলেট থাকলে ছবি বদলে যায়। ট্যাবলেটে 3G সংযোগ রয়েছে। ওয়াই-ফাই-এর মাধ্যমে নেটওয়ার্কে জুড়ে নিলেই হল। ভবিষ্যতে ভারী স্কুল ব্যাগের বদলে ট্যাবলেট হাতে বাচ্চাকে স্কুলে পাঠাতে হতে পারে। মিলছে 4G ট্যাবলেটও।
প্রায়ই একই কারণে ট্যাবলেট বাণিজ্যিক কাজেও ব্যবহৃত হচ্ছে। ট্যাবলেটে আপনি অনলাইন মিটিং, অ্যাজেন্ডা শেয়ার এবং ভিডিও কলের সুবিধা পাবেন। দেখা গিয়েছে এতে উৎপাদনশীলতা বাড়ে। iOS-এর ‘iWork’ অনেকটা Microsoft Word-এর মতো, ‘Keynote’ PowerPoint-এর মতো, ‘Numbers’, Excel-এর মতো কাজ করে। ছোটরা বাড়ির বা স্কুলের কাজ করে iWork.com-এ শিক্ষক বা সতীর্থদের সঙ্গে শেয়ারও করতে পারে। সবই Microsoft Office-এ খোলা যাবে। অ্যানড্রয়েড এ ক্ষেত্রে ‘Google docs’ ব্যবহার করে।
ট্যাবলেটেও ক্লাউডের সুবিধা পেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ‘Evernote’ ব্যবহার করতে পারেন। এটি নানা যন্ত্রের মধ্যে ছবি, শব্দ, ভিডিও এবং লেখা সিঙ্ক করাতে পারে। সব কিছুই আপনাআপনি ক্লাউডে সেভ হয়ে যায়। কিছু হারিয়ে গেলে খুঁজে পেতেও সুবিধা হয়।
আইপ্যাডে অবশ্য টাস্ক ম্যানেজার রয়েছে। আপনার কী করতে হবে তা টাস্ক ম্যানেজারই মনে রাখবে। আইফোন বা ম্যাকেও এই টাস্ক ম্যানেজার রয়েছে। ম্যাক, আইফোন এবং আইপ্যাডের মধ্যে তথ্য সহজেই সিঙ্ক হয়ে যাবে। ছোট ব্যবসা যাঁরা করেন তাঁরা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে চাইলে ‘Square’ ব্যবহার করতে পারে। ‘Square’ থেকে বিনা খরচে আইপ্যাড, অ্যানড্রয়েড বা আইফোনের জন্য কার্ড রিডার পাওয়া যায়। ট্যাবলেটে ‘Dropbox’, বা ‘Googledrive’ ব্যবহার করেও তথ্য বিনিময় করা যায়। এদের পিডিএফ ও তথ্য পড়তেও ব্যবহার করা যায়।
সব শেষে বলি ট্যাবলেটে গাড়ি বা প্লেনে বসে কাজ করতেও সুবিধা হয়। ল্যাপটপের তুলনায় দীর্ঘ সময় ব্যাটারির চার্জ থাকে। ফলে চার্জ দেওয়ার কথা সব সময় মনে রাখতে হয় না।

এই সম্পর্কে কোনও প্রশ্ন থাকলে পাঠান:
askdoss@abpmail.com-এ
সাবজেক্ট লাইনে লিখুন abp kolkata




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.