নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ইস্টবেঙ্গল বনাম টোলগে বিতর্ক মেটাতে তাড়াহুড়ো করছে না আইএফএ। দলবদল শেষ অগস্টে। তাই ধীরে চলো নীতি নেওয়া হয়েছে। সোমবার আলোচনা শুরু হবে কর্তাদের।
এ দিকে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের উপেক্ষা করার সিদ্ধান্তই নিলেন টোলগে। শো-কজের চিঠি পাঠিয়ে আজ শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় লাল-হলুদ তাঁবুতে টোলগেকে আসতে নির্দেশ দিয়েছিলেন কর্তারা। আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে রাতে টোলগে বলে দিলেন, “আগে আইএফএ-তে আমার নামে করা মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার করতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। তার পরে যাব।”
টোলগের কী হবে? প্রায় তিরিশ লাখ টাকার অগ্রিমের ভাউচার হাতে পেলেও টোলগের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের চুক্তিপত্র এখনও হাতে পায়নি আইএফএ। সংস্থার গঠনতন্ত্র সম্পর্কে ওয়াবিবহাল কর্তারা জানাচ্ছেন, চুক্তি থাকলে তবেই কোনও ফুটবলারের অগ্রিমের ভাউচার গ্রহণযোগ্য। সে ক্ষেত্রে টোলগে বিতর্ক মেটাতে প্রথমেই ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে টোলগের চুক্তিপত্র দেখতে হবে। সেটাই না কি সোম বা মঙ্গলবার চেয়ে পাঠানো হবে ইস্টবেঙ্গলের কাছে। |
এই আবহের মধ্যেই ইস্টবেঙ্গলের আর এক ফুটবলার নির্মল ছেত্রী দু’বছরের চুক্তি করে ফেললেন মোহনবাগানের সঙ্গে। শুক্রবার বিকেলে সবুজ-মেরুন তাঁবুতে কর্তাদের পাশে বসে নির্মল বলে দিলেন, “মোহনবাগানে খেলে সামনের বছর ট্রফি পেতে চাই।” এ দিকে, ক্ষুব্ধ ট্রেভর মর্গ্যানকে খুশি করতে ইসফাক আমেদের পর এডে চিডিকে সই করাল ইস্টবেঙ্গল। এ দিন সন্ধ্যায় ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে গিয়ে চুক্তি পর্ব সেরে ফেললেন তিনি। বলে দিলেন, “কলকাতায় ফিরতে পেরে ভাল লাগছে। মোহনবাগানের হয়ে করা গোলগুলো এখন অতীত। ইস্টবেঙ্গল জার্সি পরে চ্যালেঞ্জ নিতে আমি প্রস্তুত।” মর্গ্যান শর্ত দিয়েছিলেন গোলকিপার সন্দীপ নন্দীকে দলে নিতে হবে। কর্তারা প্রথমে তাঁকে চাইছিলেন না। এই অবস্থায় সন্দীপ ফের লাল-হলুদে ফেরা নিয়ে দ্বিধায়। এই পরিস্থিতিতে সন্দীপকে পেতে ঝাঁপাল প্রয়াগ ইউনাইটেড। এ দিনই বড় অঙ্কের প্রস্তাব দেওয়া হল তাঁকে। সন্দীপকে চায় মুম্বইয়ে বিমল ঘোষের নতুন ক্লাবও। এ দিকে সালগাওকরের লেফট ব্যাক বিশ্বজিৎ সাহাকে নিতে চলেছে মোহনবাগান। চার্চিলের লালরামফেলাকেও নিল বাগান। |