পুণের আজ শেষ ম্যাচ। টুর্নামেন্টটা আমাদের কাছে দারুণ কিছু যায়নি। কিন্তু আমি মনে করি না, খেলাধুলোয় লজ্জা-টজ্জার কোনও ব্যাপার আছে বলে। কারণ খেলার মাঠে সব সময়ই আরও ভাল করার সুযোগ থাকে।
স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের টিম নিয়ে প্রচুর কথাবার্তা, সমালোচনা হয়েছে। আর আমাকে যেটা সবচেয়ে অবাক করেছে যে, এখনও আমি হেডলাইন হচ্ছি। যেখানে চলতি আইপিএলে এমন অনেক প্লেয়ার আছে যারা আমার মতোই একই নৌকার যাত্রী। তবে এটাই জীবন। গত পনেরো বছর আমি যেটা কাটাচ্ছি।
আইপিএলে পুণে ওয়ারিয়র্স নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি। আমি নিশ্চিত এখান থেকে এরা শুধু সামনের দিকেই এগোবে। এ বারের টুর্নামেন্ট আমাদের সবার কাছে খুব ভাল শিক্ষণীয় ব্যাপার হয়ে থাকল। যে কোনও ক্ষেত্রে সাফল্যের চাবিকাঠি হল ধারাবাহিকতা। বিশেষ করে এই ফর্ম্যাটের টুর্নামেন্টে। আমি জানি পুণে এই ক্রিকেটারদের ওপরই আস্থা রাখবে। যেমন ভাবে এই টুর্নামেন্টের সফল ফ্র্যাঞ্চাইজিরা তাদের প্লেয়ারদের ওপর রেখেছে।
চেন্নাই সুপার কিংস-ও ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগেছে। আমার মতে এর সবচেয়ে বড় কারণ ওদের টিমের ভারতীয়দের সফল হতে না পারা। আর সবার ওপরে যে কারণটা সেটা হল, ধোনির বড় রান না পাওয়া। ধোনিকে সব সময় সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম কুশলী প্লেয়ার মনে করি। এ ধরনের ক্রিকেটে ও নিজের শক্তিশালী ব্যাটিংয়ে টিমকে টেনে তোলে। কিন্তু এ বার ও সেই ছন্দে নেই। সেটাই ওর টিমের অস্ত যাওয়ার মুখ্য কারণ। আগের দিন ধরমশালায় ওর সতীর্থ ব্যাটসম্যানরা পঞ্জাব বোলিংয়ের শিকল ভাঙতে না পারায় ধোনি চার নম্বরে এসেছিল। কিন্তু নিজেও সফল হতে পারেনি। মনে করে দেখবেন, বছর কয়েক আগে ধরমশালাতেই ধোনি প্রায় একার হাতে চেন্নাইকে হারা ম্যাচ জিতিয়ে দিয়েছিল।
অঙ্কের হিসেবে সিএসকের প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা নিয়ে কথা হলেও আমার মনে হয় গত দু’বারের চ্যাম্পিয়ন এ বার ওদের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছে। ওদের বিদায়ে এ বারের আইপিএলে নতুন চ্যাম্পিয়ন পাওয়া প্রায় নিশ্চিত। দিল্লি আর কলকাতা প্লে-অফে চলেই গিয়েছে, তবে বাকি দুটো জায়গার লড়াইয়ে অনেকগুলো দল আছে। যার ভেতর এমন টিমও আছে যাদের নিয়ে কেউ স্বপ্ন দেখেনি। এ বারের আইপিএল দারুণ জমেছে।
|
ছিটকে গেল রাজস্থান
সংবাদসংস্থা • হায়দরাবাদ |
আইপিএল থেকে ছিটকে গেল রাজস্থান রয়্যালস। ডেকান চার্জার্সের কাছে পাঁচ উইকেটে হেরে। প্রথমে ব্যাট করে রাজস্থান করে ১২৬-৮। দ্রাবিড় করেন ৩৯। ডেল স্টেইন ২-১৬। জবাবে আট বল বাকি থাকতে জিতে যায় ডেকান। সর্বোচ্চ রান অক্ষত রেড্ডির (৪২)। রাজস্থানের শেষ ম্যাচ মুম্বইয়ের সঙ্গে। |