বৃহস্পতিবার রাতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচ জেতার কিছু পরের ঘটনা। দিল্লির পাঁচ তারা হোটেলে নৈশপার্টিতে ব্যস্ত বেঙ্গালুরু টিমের ক্রিকেটাররা। সেখানেই এক আমেরিকান মহিলার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন আরসিবির অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার লিউক পোমার্সব্যাচ। মহিলার পুরুষ সঙ্গী বাধা দিলে পোমার্সব্যাচ মারধর করেন তাঁকেও। মহিলার অভিযোগ, হোটেল থেকে কোনও সাহায্যই পাননি তিনি। আহত সঙ্গীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ ডাকেন। শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় পোমার্সব্যাচকে।
পুলিশ জানিয়েছে, মহিলা তাঁর পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে নৈশভোজ সারছিলেন। পরে একা নিজের ঘরের দিকে যাওয়ার সময় পোমার্সব্যাচ তাঁর পিছু নেন। অশালীন ইঙ্গিত করেন, এক সময় শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করেন। মহিলার চিৎকারে তাঁর পুরুষ সঙ্গী ছুটে এলে পোমার্সব্যাচের সঙ্গে তাঁর হাতাহাতি হয়। তিনি এখন হাসপাতালে।
পোমার্সব্যাচকে দিল্লি পুলিশ শুক্রবার দুপুরে আদালতে তোলে। সেখানে আবার অজ্ঞান হয়ে যান বিজয় মাল্যর ফ্র্যাঞ্চাইজির বিদেশি ক্রিকেটারটি। শেষমেশ তিনি শনিবার পর্যন্ত এক দিনের অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন। ঘটনায় চরম বিরক্ত বেঙ্গালুরু টিমের মেন্টর অনিল কুম্বলে। বলেছেন, “তদন্তে পূর্ণ সাহায্য করা হবে। আমরাও ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনায় বসব।” টিম মালিক বিজয় মাল্য অবশ্য ইতিমধ্যেই এ বারের টুর্নামেন্টে একটাও ম্যাচ না খেলা পোমার্সব্যাচকে বাকি টুর্নামেন্টের জন্য সাসপেন্ড করেছেন। এ দিকে সিদ্ধার্থ মাল্য আবার টুইটে আক্রমণ করেছেন ওই মহিলাকে। পরে আরও নাটক হয়, যখন সিদ্ধার্থ মাল্যকে সাংবাদিকরা ওই টুইট নিয়ে প্রশ্ন করেন। জুনিয়র মাল্য জবাবে কটুক্তি করেন সাংবাদিকদের উদ্দেশেও।
পোমার্সব্যাচের জীবনে এই ধরনের বিতর্ক নতুন নয়। বছর তিনেক আগে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর সময় এক পুলিশ অফিসার তাঁকে গ্রেফতার করতে গেলে উল্টে ওই পুলিশকেই মারধর করেন পোমার্সব্যাচ। আর ২০০৭-এ শন মার্শ এবং পোমার্সব্যাচ ম্যাচের আগের সারা রাত মদ্যপান করেন। দু’টি ক্ষেত্রেই শাস্তি পোমার্সব্যাচকে শাস্তি দিয়েছিল পশ্চিম অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট সংস্থা। এ বারের ঘটনায় অবশ্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তড়িঘড়ি কোনও প্রতিক্রিয়ার কথা জানায়নি। |