|
|
|
|
গন্ধে আবার বন্ধ হল রাজ্যসভার অধিবেশন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
রাজ্যসভায় ফের ‘গন্ধ বিচার’।
আট দিন আগে দুর্গন্ধের কারণে মুলতুবি হয়েছিল রাজ্যসভার অধিবেশন। আজ হল পোড়া গন্ধে।
বিকেল পৌনে চারটে, রাজ্যসভা তখন তেলেঙ্গানা নিয়ে আলোচনায় উত্তাল। হঠাৎই পিছনের সারি থেকে কংগ্রেসের সাংসদ অলকা বলরাম চেঁচিয়ে বললেন, “আবার গন্ধ বেরোচ্ছে। পোড়া গন্ধ।” প্রথমে অনেকে ভাবছিলেন, তিনি বুঝি মজা করছেন। কিন্তু অলকা বললেন, “ঠাট্টা নয়, সত্যি! খুঁজে দেখুন।” তত ক্ষণে কংগ্রেসের আর এক সাংসদ রেণুকা চৌধুরিও উঠে বলেন, “সত্যিই পোড়া গন্ধ আসছে। বোধহয় শর্ট সার্কিট হয়েছে।”
অগত্যা মুলতুবি রাখতে হল রাজ্যসভা। সংসদের ভিতরেই ছুটে এলেন নিরাপত্তা কর্মীরা। হন্যে
হয়ে চলল গন্ধের উৎস-সন্ধান। দেখা গেল মাছি মারার যন্ত্রে অন্য কোনও পোকা ঢুকে পোড়া গন্ধ বেরোচ্ছে। পিছন থেকে এক সাংসদ বললেন, “পোকা নয়, টিকটিকি।”
বাকিরা কিছু বোঝার আগেই গোটা যন্ত্রটি কাঁধে করে রাজ্যসভার বাইরে নিয়ে গেলেন নিরাপত্তা কর্মীরা। গন্ধ কিছুটা কমলো। কিন্তু রেশ থেকে গেল। সভা ফের শুরু হতেই রেণুকা বললেন, “গন্ধ এখনও যায়নি।” বিজেপি শিবির থেকে রেণুকার উদ্দেশে কিছু তির্যক মন্তব্য উঠে এল। রেণুকা তার জবাবে বললেন, “অনেক দিন ধরেই তো আপনারা শাসক শিবিরে আসতে চাইছেন। এক বার এ দিকে বসে দেখুন, বসতে পারেন কি না।”
রেণুকার আপত্তিতে ডেপুটি চেয়ারম্যান পি জে কুরিয়েন ফের মুলতুবি রাখলেন রাজ্যসভার অধিবেশন। ফের ডাক পড়ল নিরাপত্তা কর্মীদের। তাঁরা এসে সুগন্ধ ছড়িয়ে দিলেন গোটা সভায়। কুরিয়েনকেও তাঁরা জানালেন, “এখন সমস্যা
মিটে গিয়েছে।”
কুরিয়েন তার পর রেণুকার কাছে গিয়ে বললেন, “একটু গন্ধ হয়-তো থাকবে। ধীরে ধীরে কেটে যাবে। সভার কাজ শুরু হোক।” রেণুকাও তাতে সম্মতি জানালেন। ফের শুরু হল সভার কাজ।
হই-হট্টগোলে বহু দিনই অচল থাকে সংসদ। এখন হচ্ছে গন্ধেও। রাজ্যসভা দু’দফায় মোট আধ ঘণ্টা বন্ধ ছিল আজ। কারণটা ভিন্ন হলেও ফল সেই একই। অপচয় জনগণের অর্থের। |
|
|
|
|
|