|
|
|
|
যৌথ উদ্যোগের জমি নিতেও সরকারের ভূমিকা চান জয়রাম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
শুধু বেসরকারি শিল্প নয়, সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে (পিপিপি) প্রকল্প স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহণেও রাষ্ট্রের ভূমিকা না রাখার পক্ষেই সওয়াল করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। আর এতেই ঘোর আপত্তি জয়রাম রমেশের। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী মনে করেন, ‘পিপিপি’ শব্দটির হামেশা ভুল ব্যাখ্যা হয়। এ ব্যাপারে এমন একটা মনোভাব দেখানো হয় যে, জনগণের অর্থে বেসরকারি প্রকল্প হচ্ছে। কিন্তু আসলে বেসরকারি বিনিয়োগে জনগণের জন্য প্রকল্প হয় এই ধরনের উদ্যোগে। জয়রামের কথায়, “কমিটি যা-ই বলুক, অধিকাংশ রাজ্য সরকার সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে গড়ে ওঠা প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের রাষ্ট্রের ভূমিকার পক্ষে। এমন অনেক প্রকল্প রয়েছে, যেখানে সরকারই চায় যে বেসরকারি বিনিয়োগ আসুক। যেমন, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎপ্রকল্প ইত্যাদি।”
জয়রাম রাষ্ট্রের অধিকার নিয়ে যতই সওয়াল করুন, ইউপিএ-র অন্যতম শরিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত অবস্থানই হল, বেসরকারি শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণে সরকারের কোনও ভূমিকাই থাকতে পারে না। সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে তৃণমূল সাংসদ দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় গত কালও বলেন, “মুক্ত বাজারে বিশ্বাস করেন শিল্পপতিরা। তাঁদের মুনাফার অংশ যখন তাঁরা সরকারকে দেন না, তখন তাঁদের জন্য সরকারই বা কেন জমি অধিগ্রহণ করতে যাবে?” এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে জয়রাম বলেন, “মমতার সঙ্গে আলোচনা করে তাঁর মতকে গুরুত্ব দিয়েই সংসদে জমি বিল পেশ করা হয়েছে। তা ছাড়া দেবব্রতবাবু তৃণমূলের তরফে জমি বিল প্রসঙ্গে দশ পৃষ্ঠার যে সুপারিশ করেছিলেন, তার ৯০ শতাংশই মানা হয়েছে। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আরও একবার কথা বলব। আশা করি, বিলটি নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান মেনে নেবেন তিনি।”
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর বক্তব্য, ১১৭ বছরের পুরনো আইন নতুন করে লেখা কম কাজ নয়। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বর্তমান জমি বিল ‘পঞ্চশীলের’ ওপর দাঁড়িয়ে। তার প্রথম শর্ত হল, রাষ্ট্রের অধিকার সংক্রান্ত। দ্বিতীয়ত, কৃষক তথা জমির মালিকরা যেন যথাযথ ক্ষতিপূরণ পায়। তৃতীয়ত, সময় বেঁধে, স্বচ্ছতার সঙ্গে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। চতুর্থত, এ ব্যাপারে রাজ্যের মতকে গুরুত্ব দিতে হবে। এবং সর্বোপরি, জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে কেন্দ্র একটা ন্যূনতম পুনর্বাসন প্যাকেজ স্থির করে দেবে। কোনও রাজ্য চাইলে অবশ্য বেশি ক্ষতিপূরণ দিতেই পারে। জয়রাম জানান, স্থায়ী কমিটির বিভিন্ন সুপারিশ বিবেচনা করে সংসদের বাদল অধিবেশনে বিলটি পাশ করাতে সচেষ্ট হবে সরকার। |
|
|
|
|
|