গরমের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গেই শহরের বেশ কিছু এলাকায় শুরু হয়েছে জলসঙ্কট। বাম ও ডান উভয় পক্ষেরই কয়েক জন কাউন্সিলর জানান, এই গরমে পানীয় জলটুকুও কিনতে হচ্ছে অনেককে। এমন চলতে থাকলে জনরোষ ঠেকানো যাবে না বলে আশঙ্কা তাঁদের। পুরসভা সূত্রে খবর, এ নিয়ে পুর-অধিবেশনে বিক্ষোভ দেখাতে পারেন বিরোধী
বাম কাউন্সিলরেরা। যদিও মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “এটা সাময়িক সমস্যা। বৃষ্টি শুরু হলেই অভাব মিটে যাবে।” তিনি জানান, গার্ডেনরিচে দেড় কোটি গ্যালন জল সরবরাহের কাজ জুলাই মাসেই শুরু হয়ে যাবে। তখন আর কোনও সমস্যা থাকবে না।
শুধু বামেরাই নন, জলসঙ্কটের কথা স্বীকার করেছেন দক্ষিণ কলকাতার কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদারও। তিনি জানান, ৯৫ থেকে ৯৯ সবকটি ওয়ার্ডেই কম-বেশি জলসমস্যা দেখা দিয়েছে। গার্ডেনরিচ-প্রকল্প থেকে রানিকুঠি পাম্পিং স্টেশনে জল কম আসায় সমস্যা হচ্ছে।
৯১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিপিএম নেতা দীপঙ্কর দে বলেন, “গভীর নলকূপের মাধ্যমে জল পান বাসিন্দারা। মাটির নীচে জলস্তর কমে যাওয়ায় জল উঠছে না। এ ছাড়া, ছোট টিউবওয়েলগুলিও অকেজো। নতুন পাইপ না থাকায়, সেগুলিও সারানো যাচ্ছে না।
পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী রূপা বাগচী বলেন, “উল্টোডাঙার বেশ কিছু আবাসনে জলসঙ্কট শুরু হয়েছে। বাসিন্দাদের চড়া দামে পানীয় জল কিনতে হচ্ছে।” মেয়র বলেন, “গরম বাড়ায় জলের চাহিদাও বেড়েছে। অভাব সে কারণেই।” তিনি জানান, এ নিয়ে পুরসভা সতর্ক। পুরসভার গাড়ি বিভিন্ন এলাকায় জল সরবরাহ করছে। |