বাড়িওয়ালা-ভাড়াটের বিবাদে মৃত্যু হল নিরাপত্তারক্ষীর। শুক্রবার, রিজেন্ট পার্ক থানার ম্যুর অ্যাভিনিউ এলাকায়।
পুলিশ জানায়, এ দিন সকালে দীনেশ ঝা (৩২) নামে ওই রক্ষীকে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে এম আর বাঙুরে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। খুনের অভিযোগে রুদ্রনারায়ণ ভট্টাচার্য নামে ভাড়াটে এক যুবক গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি কলেজে পড়েন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গৌতম বসু নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে প্রায় ৩০ বছর ধরে নাতি রুদ্রনারায়ণকে নিয়ে ভাড়া থাকেন শান্তা মুখোপাধ্যায় নামে এক বৃদ্ধা। বাড়ির একাংশে একটি স্কুলও চালান তিনি। বাড়িওয়ালার সঙ্গে তাঁদের উচ্ছেদের মামলা চলছিল। বছর দুয়েক আগে স্থানীয় এক প্রোমোটারকে বাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন গৌতমবাবু। শান্তাদেবীর সঙ্গে ওই প্রোমোটার একটি চুক্তি করেন। নতুন আবাসনের এক অংশ তাঁকে দিতে সম্মত হন ওই প্রোমোটার। মাস তিনেক আগে বিহারের বাসিন্দা দীনেশকে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে নিয়োগ করেন গৌতমবাবু। তাঁর অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই রুদ্রনারায়ণ দীনেশের সঙ্গে ঝামেলা করতেন। রুদ্রনারায়ণের পাল্টা অভিযোগ, ঠিক চুক্তি করা হয়নি। বাড়িওয়ালা ও প্রোমোটার তাঁদের ঠকিয়েছেন।
গৌতমবাবু পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, এ দিন দোতলার বারান্দায় আচমকা ছুরি নিয়ে দীনেশের উপরে চড়াও হন রুদ্রনারায়ণ। গৌতমবাবুকেও মেরে ফেলার শাসানি দেন ওই যুবক। গৌতমবাবুর চিৎকারে আশপাশের বাসিন্দারা ছুটে আসেন। ততক্ষণে রুদ্রনারায়ণ অবশ্য বাড়ি থেকে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানায়, রানিকুঠির কাছে একটি পুকুরে ছুরিটি ফেলে দিয়ে বাড়ি ফেরেন রুদ্রনারায়ণ। পুলিশ গৌতমবাবুর বাড়িতে এলে রুদ্রনারায়ণ তাদের দিকেও আর একটি ছুরি হাতে তেড়ে যান। তখন পুলিশ তাঁকে ধরে ফেলে। কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সাউথ সাবার্বান) সুজয় চন্দ বলেন, “একটি ছুরি মিলেছে। অন্যটির খোঁজ চলছে।” |