|
|
|
|
ব্যবসায়ী নিখোঁজ, তদন্তে সিআইডি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
কলকাতার ব্যবসায়ী কৌশিক দাশগুপ্তের আসানসোল থেকে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিআইডি। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গে যৌথ ভাবে এই তদন্ত শুরু করেছে তারা। কিছু তথ্য মিললেও এই ঘটনার তদন্তে বিশেষ কোনও অগ্রগতি হয়নি বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সিআইডি-র একটি দল কলকাতা থেকে আসানসোল পৌঁছয়। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গে যৌথ ভাবে তদন্তের কাজ শুরু করেছে তারা। আসানসোলের সেনর্যালে রোড সংলগ্ন যে হোটেলে কলকাতার গড়িয়ার বাসিন্দা কৌশিকবাবু উঠেছিলেন সেখানে গিয়েছিলেন অফিসারেরা। হোটেলের খাতাপত্র পরীক্ষা করেছেন তাঁরা। হোটেলের কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলা হয়। ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে কেউ দেখা করতে এসেছিলেন কি না, সে সব জানার চেষ্টা করছেন অফিসারেরা। পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা যায়, কৌশিকবাবুর সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকা আসানসোল ও দুর্গাপুর এলাকার কয়েক জনের সঙ্গে অফিসারেরা কথাবার্তা বলছেন। আসানসোলে এডিসিপি (সেন্ট্রাল) ভাস্কর মুখোপাধ্যায় শুক্রবার বলেন, “আমরা কিছু সূত্র পেয়েছি। তার ভিত্তিতেই তদন্ত এগোচ্ছে। কলকাতা থেকে সিআইডি-র একটি দলও তদন্তে এসেছে।” আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের এসিপি চন্দ্রশেখর বর্ধন বলেন, “তদন্ত চলছে। এখনই বিশেষ কিছু বলার নেই।”
১০ মে সকালে আসানসোলের ওই হোটেলে ওঠেন কৌশিকবাবু। ১১ মে থেকে তিনি নিখোঁজ। তাঁর পরিবারের তরফে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হিরাপুরের প্রাক্তন বিধায়কের ছেলে তথা সিপিএম কর্মী অর্পণ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কৌশিকবাবুর একটি ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের দাবি, ১০ মে অর্পণবাবুর সঙ্গে ব্যবসা সংক্রান্ত আলোচনার জন্য কৌশিকবাবু আসানসোলে আসেন বলে একটি সূত্রে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু ঘটনাচক্রে সে দিন ভোরেই খুন হন অর্পণবাবু। বাড়ির লোকজনকে ফোনে এই ঘটনার কথা কৌশিকবাবু জানিয়েছিলেন বলেও জেনেছে পুলিশ। তবে অর্পণ-খুনের সঙ্গে কৌশিকবাবুর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার কোনও যোগ থাকার সম্ভাবনার কথা বারবার খারিজ করেছে পুলিশ। তবে গোয়েন্দা অফিসারেরা এই সম্ভাবনার দিকটিও খতিয়ে দেখছেন বলে জানা গিয়েছে। |
|
|
|
|
|