মাহেশ ছাত্র সঙ্ঘের উদ্যোগে নকআউট ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। ফাইনালে তারা হারাল আয়োজক ক্লাব ছাত্র সঙ্ঘকে। শ্রীরামপুর স্টেডিয়ামে রবিবার ফাইনালে পুলিশ দলটি ১-০ গোলে জেতে। খেলার অন্তিম লগ্নে একমাত্র গোলটি করেন অনুপম দত্ত। তিনিই ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। আয়োজক ক্লাবের কর্মকর্তা তথা শ্রীরামপুর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক তরুণ মিত্র জানান, চ্যাম্পিয়ন দলকে দেওয়া হয়েছে কেষ্ট মুখার্জি চ্যালেঞ্জ উইনার্স কাপ। রানার্স দল পায় খগেন শর্মা চ্যালেঞ্জ রানার্স কাপ। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার শিশির ঘোষ, সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন শ্রীরামপুরের পুরপ্রধান তথা ক্লাবের সভাপতি অমিয় মুখোপাধ্যায়, চুঁচুড়ার বিধায়ক তপন মজুমদার প্রমুখ।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার ৪টি দল এবং জেলার ৪টি দলকে নিয়ে ওই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল গত ৬ মে। সেমিফাইনালে পুলিশ দল বৈদ্যবাটি কৃষ্টিচক্রকে এবং ছাত্র সঙ্ঘ উয়াড়িকে হারায়। বৈশাখের রোদ উপেক্ষা করে নিতান্তই মাঝারি মানের এই প্রতিযোগিতার খেলা দেখতে প্রতিদিন বহু মানুষ মাঠে আসেন।
শহরের একাধিক ক্রীড়াকর্তা বলেন, “মূলত টাকার অভাবে এবং অন্য কিছু সমস্যার কারণে ভাল মানের প্রতিযোগিতা করা যাচ্ছে না। তবে, আমরা চেষ্টা করব।” বৈদ্যবাটি এবং রিষড়াতেও ফুটবল প্রতিযোগিতা হয়। তবে, সব জায়গাতেই পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। শ্রীরামপুর মহকুমা বহু ফুটবলার উপহার দিয়ে এসেছে কলকাতা ময়দানে। ইদানীং সেই গতি অনেকটাই কমেছে।
|
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ক্রিকেট অ্যাকাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত সারা বাংলা অনূর্ধ্ব ১৪ ভূপেন্দ্রনাথ স্মৃতি চ্যালেঞ্জ ট্রফিতে জয়ী হল দুর্গাপুর ক্রিকেট ক্লাব। প্রতিযোগিতায় ১৪টি দল যোগ দিয়েছিল। প্রতিযোগিতা শুরু হয় ১৭ এপ্রিল। বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক ভূপেন শেঠের স্মৃতিতে এই প্রতিযোগিতা অনুি,্ঠত হয়। রবিবার বনগাঁ স্টেডিায়ামে আয়োজিত ফাইনালে দুর্গাপুর ক্রিকেট ক্লাব এক রানে পরাজিত করে বনগাঁ ক্রিকেট অ্যাকাডেমিকে। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্দিষ্ট ৩৫ ওভারে ১৯৯ রান তোলে দুর্গাপুর। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করে অরিত্র দাস। সে করে ৮১ রান। বনগাঁর কৌস্তভ সিংহ আট ওভারে ৩৮ রান দিয়ে তিনটি উইকেট পায়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বনগাঁ নির্ধারিত ৩৫ ওভারে ১৯৮ রান তোলে। উত্তেজনা পূর্ণ ম্যাচে শেষ বলে জয়ের জন্য বনগাঁর দরকার ছিল ৩ রান। কিন্তু সমর্থকদের হতাশ করে ওঠে মাত্র ২ রান।
বনগাঁর হয়ে অমর্ত্য সেনগুপ্ত সর্বোচ্চ ৬৯ রান করে। ব্যাটের পাশাপাশি দুর্গাপুরের অরিত্র বল হাতেও সফল হয়। আট ওভারে ৪৬ রানের বিনিময়ে তিনটি উইকেট তুলে নেয় সে। ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন সিএবি-র যুগ্ম সভাপতি সুজন মুখোপাধ্যায়, বনগাঁ মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক সঙ্কর আঢ্য, বনগাঁ ক্রিকেট অ্যাকাডেমির কর্ণধার অপু সেনগুপ্ত, বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ প্রমুখ। সুজনবাবু বলেন, “টি-২০-র সময়ে ছোটদের নিয়ে ৩৫ ওভারের ক্রিকেট প্রতিযোগিতার আয়োজন যথেষ্ট কৃতিত্বের।”
|
সিএবি-র পরিচালনায় আরামবাগে ক্রিকেট প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আরামবাগ মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় অনূর্ধ্ব ১৪-১৬ বছরের ছেলেদের নিয়ে ওই শিবির হবে জুবিলি পার্ক মাঠে। শিবির চলবে আগামী ২১ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত। এর আগে এই মহকুমায় সিএবি-র উদ্যোগে এই ধরনের শিবির হয়নি। মহকুমার সমস্ত স্কুল এবং ক্লাবের খেলোয়াড়দের ওই শিবিরে যোগ দেওয়ার জন্য প্রচার চালাচ্ছে মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা। আজ, শুক্রবার বিকেল ৪টে থেকে ক্রীড়া সংস্থার দফতরে খেলোয়াড়দের নাম নথিভুক্ত করা হবে। আরামবাগের মহকুমাশাসক তথা মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি অরিন্দম নিয়োগী বলেন, “ক্রিকেট, ফুটবল-সহ বিভিন্ন খেলার মানোন্নয়ন এবং খেলাকে জনপ্রিয় করে তুলতে প্রশাসন উদ্যোগী হচ্ছে।” ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক নয়ন তরফদার বলেন, “এই প্রশিক্ষণ শিবিরে সাড়া মিললে সিএবি বছরভর শিবির চালানোর কথা বলেছে।” |