তৃণমূলে দ্বন্দ্ব ময়নাগুড়িতে |
দলের এক পঞ্চায়েত সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের এক অঞ্চল সভাপতি ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে ময়নাগুড়ির খাগরাবাড়ির ২ পঞ্চায়েতে বাসিলারডাঙা গ্রামে। জখম পঞ্চায়েত সদস্যের নাম ভবেশ সাহা। ওই এলাকায় তৃণমূলের সভা চলছিল। সেই সময় মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খাগড়াবাড়ি ২ নম্বর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি বাবলু রায়অভিযোগ অস্বীকার করেন। আইসি বিশ্বনাথ হালদার বলেন, ‘‘ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ জমা পড়েনি।” ময়নাগুড়ি হাসপাতালের বিএমওএইচ সন্দীপ বাগ বলেন, “তাঁর চোখে, কপালে আঘাত লেগেছে। বুকে ব্যথা অনুভব করায় এক রাত নজরে রাখা হয়। এ দিন জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়।” ভবেশবাবুর অভিযোগ, বুধবার রাতে আশু মোদক নামে এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে তাঁরা কয়েকজন বসে আলোচনা করছিলেন। বাবলুবাবু তাঁকে অন্ধকারে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। তিনি চিৎকার শুরু করলে অভিযুক্তরা পালায়। মারধরের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে বাবলুবাব বলেন, “ঘটনাস্থলে ছিলাম না। পরে শুনেছি ভবেশবাবু গোপনে এলাকায় দল বিরোধী কাজ করছিলেন। এলাকার দলীয় কর্মীরা প্রতিবাদ করে। তাঁদের মধ্যে বচসা হয়। এখানে আমাকে কেন জড়ানো হচ্ছে বুঝতে পারছি না।”
|
তেলের ট্যাঙ্কারের ছাদে গোপন কুঠুরি তৈরি করে লুকিয়ে রাখা প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকার গাঁজা বাজেয়াপ্ত করল শুল্ক দফতর। বুধবার গভীর রাতে ফুলবাড়ি বাইপাস এলাকা থেকে শুল্ক দফতরের কর্মীরা ওই তেলের ট্যাঙ্কার আটক করেন। শুল্ক দফতরের দাবি, আটক গাঁজার মূল্য ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। গ্রেফতার করা হয় ট্যাঙ্কারের চালক ও আরোহী-সহ মোট ৫ জনকে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম দীপক বড়ুয়া, রাতুল বরা, রাজ গগৈ, বাবলু ভুঁইয়া এবং রূপম বরা। সকলেই অসমের বাসিন্দা।
|
ভেজাল মদের বোতলে দামি ব্র্যান্ডের লেবেল সেঁটে বিক্রির অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে আবগারি দফতর। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ি সংলগ্ন খাপরাইল মোড়ে। আবগারি দফতরের কোর্ট মোড় শাখা সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম কৃষ্ণ সাহা ও রবি মাহাত। তাদের বাড়ি প্রধাননগর থানার চম্পাসারিতে। একটি ছোট গাড়িতে করে ওই দু’জন ৬০ প্যাকেট মদের বোতল বাগডোগরার দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে আবগারি ওসি সুমন সাহা, অফিসার সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি দল ওই গাড়িটিকে খাপরাইল মোড়ে আটক করে তল্লাশি চালায়। ধৃতদের আজ, শুক্রবার আদালতে হাজির করানো হবে।
|
বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হল সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী। বুধবার বাগডোগরার ঘটনা। ওই ছাত্রীর নাম বিদিশা দত্ত। বয়স ১৩ বছর। বাগডোগরা বালিকা বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে সে। বিদিশার বাবা সঞ্জয়বাবু জানান, ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ সে স্কুলে যাওয়ার জন্য বের হয়। বিকাল ৪টার পরেও সে বাড়ি ফিরে না আসায় খোঁজখবর শুরু করেন তাঁরা। বিদিশা স্কুলে যায়নি শুনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন অভিভাবকেরা। আত্মীয়, বন্ধুদের বাড়িতে খোঁজ করেও তার হদিশ মেলেনি। ওই রাতেই বাগডোগরা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁরা। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রাজা বলেন, “ওই ছাত্রীর খোঁজ শুরু করা হয়েছে।”
|
ট্রেনের কামরায় বেহুঁশ অবস্থায় পড়ে থাকা ২ জন যাত্রীকে উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ি জংশনে এনজেপি-কাটিহার প্যাসেঞ্জার ট্রেনে। তাঁদের উদ্ধার করে শিলিগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করেছে রেল পুলিশ। তাঁদের জ্ঞান না ফেরায় পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে, পাঞ্জাবের একটি ট্রেন থেকে বুধবার রাতে কাটিহারে নামে ওই ২ যাত্রী। পরে তাঁরা কাটিহার থেকে প্যাসেঞ্জার ট্রেনে চাপে। পুলিশের সন্দেহ, সেখানেই তাঁদের কেউ মাদক জাতীয় কিছু খাইয়ে বেহুঁশ করে জিনিসপত্র লুঠ করেছে। রেল পুলিশের এক কর্তা বলেন, “তাঁদের জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত আসল ঘটনা জানা যাবে না। সে অপেক্ষা করা হচ্ছে।” |