বাঘে টেনে নিয়ে গেল মৎস্যজীবীকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ক্যানিং |
বাঘে টেনে নিয়ে গেল এক মৎস্যজীবীকে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর হেড়োভাঙা ৬ও ৭ নম্বর জঙ্গলে সূর্যমনি খালে। পুলিশ জানিয়েছে নিখোঁজ মৎস্যজীবীর নাম ভোলানাথ মণ্ডল। বছর বত্রিশের ওই যুবকের বাড়ি বাসন্তীর ত্রিদিবনগরে। বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে পাঁচ জনের একটি দল ওই খালে মাছ ধরতে গিয়েছিল। দলে ছিলেন ভোলানাথবাবু ও তাঁর বাবা ফণী মণ্ডল। ফণীবাবু বলেন, “আমরা পাঁচজন ওই দিন সকালে মাছ ধরতে যাই। সন্ধ্যার সময় সূর্যমনি খালে জাল ফেলে মাছ ধরছিলাম। হঠাৎ একটা শব্দ শুনে পিছন ফিরে দেখি বাঘ ভোলানাথকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা লাঠি নিয়ে বাঘটাকে তাড়া করি। কিন্তু ভোলানাথকে ছাড়িয়ে আনতে পারিনি। ঝড়খালি মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি সুকান্ত সরকার বলেন, “বুধবার পাঁচজনের দলটি ওই এলকায় মাছ ধরতে যায়। দলের এক সদস্য ভোলানাথকে বাঘ জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়েছে। বাকিরা ফিরে এসে আমাকে ঘটনাটি জানালে ভোলানাথকে উদ্ধারের জন্য আমি ব্যাঘ্র প্রকল্পের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।” দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডিএফও লিপিকা রায় বলেন, “এ রকম একটি ঘটনার কথা শুনেছি। তবে লিখিত অভিযোগ পাইনি। সম্ভবত ওই মৎস্যজীবীদের কাছে কোনও বৈধ অনুমতি পত্র ছিল না।”
|
নতুন প্রাণ বোকারো চিড়িয়াখানায় সাদা বাঘের তিন সদ্যোজাত শাবক।
বৃহস্পতিবার চন্দন পালের তোলা ছবি।
|
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল একটি হরিণের। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ির অদূরে সুকনায়। মহানন্দা অভয়ারণ্যের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার সময়ে সুকনা থেকে রংটং যাওয়ার পথে ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক পার হওয়ার সময়ে গাড়ির ধাক্কায় হরিণটি মারা যায়। রাতে বন দফতরের কর্মীরা টের পান। রাতেই হরিণের মৃতদেহ সুকনায় বন্যপ্রাণ স্কোয়াডে আনা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে দেহটি ময়না তদন্ত করা হয়। ঘাতক গাড়িটিকে চিহ্নিত করা যায়নি। সুকনার বন্যপ্রাণ বিভাগের রেঞ্জ অফিসার কাঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “হরিণটি স্পটেড ডিয়ার প্রজাতির। সম্ভবত জঙ্গল পারাপারের চেষ্টা করতে গিয়ে গাড়ির সামনে পড়ে যায়। বুকে ও পেটে ক্ষতচিহ্ন মিলেছে।”
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • বড়জোড়া |
বিষ্ণুপুর থেকে ২০টি হাতির দল বড়জোড়ায় ঢুকে সব্জি খেতে হামলা শুরু করেছে। বুধবার রাতে হাটআশুড়িয়া, হরিরামপুর, কাঁটাবাঁধ প্রভৃতি গ্রামে জমির লাউ, শসা ও ধান হাতিরা খেয়ে-ছড়িয়ে নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ। বড়জোড়ার রেঞ্জ অফিসার সৌমেন মণ্ডল বলেন, চারদিন ধরে হাতিগুলি এলাকায় রয়েছে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
|
গরমের দুপুরে গাছের কোটরেই আশ্রয়। মেদিনীপুরে কিংশুক আইচের ছবি। |
|