নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
দুঃস্থ হৃদরোগী, বিশেষত শিশুদের পাশে দাঁড়িয়ে আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে দ্য মিশন হাসপাতাল। দুর্গাপুরের এই সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের চতুর্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বুধবার এমনটাই
|
সত্যজিৎ বসু। |
জানালেন হাসপাতালের চেয়ারম্যান তথা হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ সত্যজিৎ বসু।
সত্যজিৎবাবু জানান, মুনাফা নয়, রোগীদের কাছে উন্নত মানের চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ‘ব্রত’ নিয়েই পথচলা শুরু হয়েছিল। কাজ করতে গিয়ে তাঁরা বোঝেন, অর্থাভাবে অনেকেই যথাযথ চিকিৎসা পান না। হৃদ্যন্ত্রে জটিল সমস্যা নিয়ে বহু শিশুর জন্ম হয়। কিন্তু অর্থের অভাবে অনেকেরই অস্ত্রোপচার হয় না। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এমন প্রায় হাজার খানেক শিশুর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এই ধরনের অস্ত্রোপচারের খরচ প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। অনেক শিশুর পরিবার এই খরচের সামান্য অংশ দিতে পারেন। অনেকে আবার তা-ও পারেন না।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু গরিব রোগীর হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো দরকার হয়। কারও আবার অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করতে হয়। কিন্তু এ সবের জন্য প্রয়োজনীয় খরচ জোগাড় করতে পারেন না অনেকেই। নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে এই খরচের পরিমাণ অনেকটা কমিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। |
হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা শিশুরা। |
তাতে এমনকী সরকারি হাসপাতালের থেকেও খরচ কম পড়ে। কেউ খরচের টাকা এককালীন জোগাড় করতে না পারলে মাসে চার-পাঁচশো টাকা কিস্তিতেও চিকিৎসার খরচ মেটানোর ব্যবস্থা করা হয়। সত্যজিৎবাবু বলেন, “রাজ্যের প্রায় আটশো দুঃস্থ রোগী গত এক-দেড় বছর ধরে এই সুবিধা নিচ্ছেন। সম্প্রতি ‘ভাল্ভ রিপ্লেসমেন্ট’-এর ক্ষেত্রেও এই সুবিধা চালু হয়েছে।”
দ্য মিশন সূত্রে জানা যায়, গত চার বছরে হৃদ্যন্ত্রের প্রায় চার হাজার জটিল অস্ত্রোপচার, আড়াই হাজার মানুষের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি ও পেসমেকার বসানো হয়েছে। ২২০০ জনের মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার, ৬৫৭ জনের ‘জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট’ হয়েছে। সত্যজিৎবাবু বলেন, “আমাদের চিকিৎসক ও কর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টায় এখন বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভুটান, মায়ানমার, নাইজিরিয়া থেকেও রোগীরা আসছেন।”
|