নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
মহকুমা শাসকের দফতর লাগোয়া এলাকায় ‘আলিপুরদুয়ার জেলা’ নামের ব্যানার ঝুলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানাতে সই সংগ্রহ অভিযানে নামল টাউন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি, আলিপুরদুয়ার জেলা ঘোষণা হলে মুখ্যমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে জোট শরিক কংগ্রেস। আলিপুরদুয়ার মহকুমাকে পৃথক জেলা ঘোষণা দাবি নিয়ে আজ, বৃহস্পতিবার সর্বদল বৈঠক ডেকেছে রাজ্য সরকার। তৃণমূল কংগ্রসের সাধারণ সম্পাদক মৃদুল গোস্বামী বলেন, “দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে আলিপুরদুয়ারবাসী পৃথক জেলার জন্য আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। কিন্তু বাম আমলে তা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। নতুন সরকারের আসার এক বছরের মধ্যে আলিপুরদুয়ারকে জেলা ঘোষণা করার জন্য সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। |
আমাদের আশা, দ্রুত জেলা ঘোষণা হবে।” মৃদুলবাবু জানান, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বৃহস্পতিবার সর্বদল বৈঠক করবেন। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক কাজে বাসিন্দাদের ১০৫ কিলোমিটার দূরে জলপাইগুড়িতে যেতে হয়। এবার বাসিন্দাদের সেই সমস্যা মিটবে। তৃণমূল কংগ্রসের রাজ্যের সহ সভাপতি তথা আলিপুরদুয়ার বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জহর মজুমদার বলেন, “মহকুমার উন্নয়ন প্রয়োজন ও ভৌগোলিক ভৌগলিক কারণে পৃথক জেলা ঘোষণার করা প্রয়োজন। ২০০৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলিপুর দুয়ারে এক কর্মী সভায় জেলা ঘোষণার পক্ষে আওয়াজ তোলেন। নতুন সরকার আসায় মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই আলিপুরদুয়ার জেলার মর্যাদা পেতে চলেছে।” রাজ্যে সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে জোট শরিক কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বরঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার পৃথক জেলা ঘোষণা প্রক্রিয়ায় সর্বদল বেঠক ডাকায় আমরা খুশি। আলিপুরদুয়ার মহকুমা পৃথক জেলার মর্যাদা পেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গণসংবর্ধনা দেওয়া হবে।” ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হতে চলায় খুশি আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চ। সংগঠনের সম্পাদক ল্যারি বসু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আলিপুরদুয়ারবাসী কৃতজ্ঞ। মুখ্যমন্ত্রী ভোটের আগে ওই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।” সর্বদল বৈঠকে ঐক্যমত হয়ে দ্রুত জেলা ঘোষণা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আলিপুরদুয়ার চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ দে। |